নওশাদের কোটি কোটি টাকার উৎস ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে আনার দাবি তৃণমূলের

Spread the love

ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির ফের ৬ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে।শুক্রবার বারুইপুর আদালতে তোলা হলে আইএসএফ বিধায়ককে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নওশাদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে পরিকল্পনামাফিক আটকে রাখা হচ্ছে তাঁকে।
তিনি যাই দাবি করুন না কেন, শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, কোনও ধর্মগুরুকে অবমাননা করার ইচ্ছা তৃণমূল বা পুলিশের নেই। কিন্তু ধর্মগুরুর চাদরের আড়ালে কেউ রাজনীতি করলে…..। পুলিশকে মারবেন, আগুন জ্বালাবেন, তো মামলা হবে। তৃণমূলের বিরোধিতা করতে হবে বলে যা ইচ্ছা তাই করছেন।

এদিন নওশাদকে ভোট কাটুয়া বলে সম্বোধন করে ফিরহাদ বলেন, তৃণমূলের ভোট কাটার জন্য বিজেপির হাত ধরেছে। টাকার লেনদেন হয়েছে। মিমের মতো কাজ করছে।এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক।তাঁর প্রশ্ন, টাকা আর রাজনীতির জন্য মানুষের বিশ্বাস ভেঙে দিলেন, কীসের স্বার্থে। ভাঙরের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। সংখ্যালঘুদের বোকা ভাববেন না।মন্ত্রী সাফ জানান, লালবাজার তথ্য সামনে এনেছে। নওশাদ সিদ্দিকীর একাউন্টে কোটি কোটি টাকা আছে। ভোটের আগে কীভাবে এতো টাকা এলো। সিপিএমের সঙ্গে হাত ধরাধরি ছিল। এখন বিজেপির সঙ্গে। কোন অফিসারকে কোথায় ট্রান্সফার করতে হবে সেটা বিজেপি নেতার সঙ্গে হোয়াটস আপ চ্যাটে কথা হয়েছে। কোন কোন নেতার সঙ্গে চ্যাট হয়েছে আমরা জানতে চাই। কত টাকার লেনদেন হয়েছে জানতে চাই।

তিনি এদিন স্পষ্ট জানান, শুভেন্দু এখন আইএসএফ এবং নওশাদ সিদ্দিকীর সার্টিফিকেট দিচ্ছে। সিপিএম বিজেপি হাত মিলিয়েছে। অদ্ভুত পরিস্থিতি চলছে। হিন্দু-মুসলমান সেন্টিমেন্ট নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে, দেশ কোনদিকে যাচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী মুসলমানদের জাজ হয়ে গেছেন। যিনি মুসলমানদের জেহাদি বলেছেন, যিনি বলেছিলেন ৩০ শতাংশ ভোট লাগবে না, সে এখন বড় বড় কথা বলছে। ফুরফুরা শরীফের পীর সাহেবদের আমরা সম্মান-শ্রদ্ধা জানাই। তবে নওশাদ সিদ্দিকী অন্যায় করেছেন।মোদি সরকার আর ২৪-এ ফিরছে না। তাই ভোটের আগে কিছু মানুষকে বোকা বানাচ্ছে।
এদিন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ভয়ঙ্কর চক্রান্ত হয়েছে। নওশাদ সিদ্দিকীর একাউন্ট থেকে যে বিপুল পরিমাণ টাকা এসেছে, তার উৎস জানতে চাই।বিজেপির একাধিক নেতাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে সিপিএম-কংগ্রেসের জোটসঙ্গী নওশাদ সিদ্দিকীর।

তিনি এদিন স্পষ্ট বলেন, শুভেন্দু-দিলীপ-সুকান্ত-মিঠুন যতক্ষণ না পর্যন্ত বলছেন NRC-CAA মানছি না, এ ব্যাপারে তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে একমত, ততক্ষণ পর্যন্ত এই মুখোশধারীদের বিশ্বাস করবেন না। যে কোনও ধর্মের ধর্মগুরুরা ধর্মের জায়গাতেই থাকুন, তিনি যখন রাজনীতিতে আসেন, তখন তাঁর সমালোচনা করতে আমরা কোনও ধর্মগুরুকে দেখি না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*