ধ্বংসস্তূপ সরাতেই শিশুর কান্নার শব্দ! একরত্তিকে দেখেই হাততালি উদ্ধারকারীদের

Spread the love

তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর প্রায় ৭ দিন কাটতে চলল। কিন্তু এখনও কমতি নেই লাশের। বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা।জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপ সরালেই মিলছে প্রাণহীন দেহ। কিন্তু এত মৃত্যুর মাঝে যেন সজোরে প্রাণের ঘোষণা করেছে একরত্তি। ১২৮ ঘণ্টা পরও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে দু’মাস বয়সি ওই শিশুকে। ধ্বংসস্তূপ সরতেই শিশুর কান্নার শব্দ পেয়ে আনন্দে হাততালি দিয়ে উঠেছেন উদ্ধারকারীরা। শনিবার তুরস্কের হাতায় প্রদেশে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই একরত্তিকে।
গত সোমবার সকালে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়া। তার পর অন্তত ১০০ বার জোরালো আফটার শকে কাঁপে দুই দেশের মাটি।

পরিসংখ্যান বলছে, ভূমিকম্পে সিরিয়া এবং তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তা আরও বাড়তে পারে। দেশের নানা প্রান্তে ভেঙে পড়েছে অন্তত ৬ হাজার বাড়ি। তার ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও অনেক দেহ চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই যতক্ষণ না সমস্ত ভেঙে পড়া বাড়ি-ঘর, বহুতলের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ উদ্ধারকাজ চলবে।

তুরস্ক এবং সিরিয়ায় প্রবল শীতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তবে শনিবার ধ্বংসস্তূপ থেকে বহু জীবিত মানুষকে উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারীরা। ইতিমধ্যে ভারত-সহ একাধিক দেশ থেকে সাহায্য পাঠানো হয়েছে তুরস্ক এবং রাশিয়া দুই দেশেই। ত্রাণে খাদ্যসামগ্রী ছাড়াও মেডিকেল ক্যাম্প, ডাক্তার, ওষুধপত্র গিয়েছে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দুই দেশে। এছাড়া ভারতীয় সেনাও সেখানে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে দুর্ঘটনার পরেরদিন থেকেই।

সিরিয়া, তুরস্কের এই ভূমিকম্পকে শতাব্দীর সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ও প্রাণঘাতী বলে মনে করছেন কেউ কেউ। বলা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিনে এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৫০ হাজার। ২০০৩ সালে ইরানে ভূমিকম্পের বলি হয়েছিলেন ৩১ হাজার মানুষ। অনেকের মতে, সেই নজিরও ভেঙে দিতে চলেছে তুরস্ক এবং সিরিয়া।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*