প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবাশিস ভট্টাচার্য, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেকের

Spread the love

প্রয়াত সাংবাদিক দেবাশিস ভট্টাচার্য। রবিবার ভোরে দক্ষিণ কলকাতার চেতলার বাড়িতে ঘুমের দেশে পাড়ি দেন তিনি।৭0 বছরের বর্ষীয়ান সাংবাদিক ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। এনআরএস হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিছুদিন আগে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন।তাঁর প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।শোক বার্তায় তিনি লিখেছেন,“বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবাশিস ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ সকালে কলকাতায় প্রয়াত হয়েছেন। বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

দেবাশিসবাবু দীর্ঘদিন ‘দর্পণ’, ‘আজকাল’, ‘শ্রমজীবী মা মাটি মানুষ’ পত্রিকা এবং ‘আকাশ বাংলা’, ‘২৪ ঘণ্টা’, ‘কলকাতা টিভি’, ‘বাংলা জাগো’ টেলিভিশন চ্যানেলে সাংবাদিকতা করেছেন। ‘শ্রমজীবী মা মাটি মানুষ’ সংবাদ সাপ্তাহিক-এর তিনি সম্পাদক ছিলেন। বিশেষত বামপন্থী রাজনীতি সংক্রান্ত তাঁর বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন পাঠক মহলে সাড়া জাগিয়েছিল। তিনি ‘সত্তরের দিনগুলি’, ‘সেই ত্রিশ বছর’, ‘বন্দীশালা’সহ বহু গ্রন্থের রচয়িতা।

দেবাশিসদার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের হৃদ্য সম্পর্ক ছিল। ২০১১ সাল থেকে তিনি আমার কার্যালয়ের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর যুক্ত ছিলেন। মানুষের বিপদে-আপদে তিনি চিরকাল নি:শব্দে সাহায্য করে গেছেন।দীর্ঘ অসুস্থতার পর তাঁর প্রয়াণ সাংবাদিকতা জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি।আমি দেবাশিস ভট্টাচার্যের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন,দেবাশিসবাবু ‘দর্পণ’, ‘আজকাল’, ‘শ্রমজীবী মা মাটি মানুষ’ পত্রিকা এবং ‘আকাশ বাংলা’, ‘২৪ ঘণ্টা’, ‘কলকাতা টিভি’, ‘বাংলা জাগো’ টেলিভিশন চ্যানেলে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত থেকেছে। প্রচারের আলোর বিপরীতে থেকে সাধারণ মানুষের বিপদে-আপদে সর্বদা পাশে থেকেছেন।দীর্ঘ অসুস্থতার পর তাঁর চলে যাওয়া সাংবাদিকতা জগতের অপূরণীয় ক্ষতি।আমি দেবাশিস ভট্টাচার্যের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে , তাঁর আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।

জীবনের শুরুতে যুক্ত ছিলেন বামপন্থী এবং মানবাধিকার আন্দোলনে। সাতের দশকের শেষে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আটের দশকের গোড়ায় পা রাখেন সাংবাদিকতার জগতে। পরবর্তীকালে বিশেষ পরিচিতি পান আজকালের মুখ্য সাংবাদিক হিসেবে। যে কোনও রাজনৈতিক ইতিহাস, তথ্য এবং পরিসংখ্যান তাঁর ছিল ঠোটস্থ। সুবক্তাও বটে। লেখাতেও ছিল অসাধারণ যুক্তির ধার। তাঁর রাজনৈতিক ধারাবিবরণী ‘এসব কথা না বললেই ভাল হত’ পেয়েছিল দারুণ জনপ্রিয়তা।রবিবার তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়েই বাড়িতে ছুটে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ মালা রায়, বিধায়ক দেবাশিস কুমার। শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ প্রবীণ এই সাংবাদিকের দেহ এসএসকেএম হাসপাতালে দান করা হয়।
/

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*