কুন্তল ঘোষের মুখে প্রথমবার শোনা গিয়েছিল হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। কুন্তল বলেছিলেন, হৈমন্তী গোপালের দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে এখন একসঙ্গে থাকেন না। এই খবর সামনে আসতেই নতুন করে শুরু হয় চাপানউতর। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে একের পর এক তথ্য সামনে উঠে এসেছে। হৈমন্তীর মা দাবি করেছেন, মেয়ে নিজে পছন্দ করে বিয়ে করেছিল। তাই তাঁরা বিয়ে নিয়ে কোনও খোঁজ খবরই করেননি। শুধু হৈমন্তীর মা নন, দিদির ভূমিকা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে গিয়ে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেগ পেতে হয় হৈমন্তীর বোনকেও। তিনি মাস্কে মুখ ঢেকে বেরিয়ে আসেন বারান্দার সামনে। গ্রিলের ওপারে সাংবাদিকরা। দিদি কোথায়, সমস্বরে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই হৈমন্তীর বোন জানান, “আপনাদের কাজ দিদিকে খুঁজে বের করা। আমার কাজ নয়। আমি তো সিবিআইয়ে নেই, পুলিশেও নেই।”
এরপরই হৈমন্তীর মা ছোট মেয়ে ঠেলে ঘরে ঢোকান। তবে এরইমধ্যে এক সাংবাদিক প্রশ্ন ছোড়েন, জামাইবাবু কী করতেন? শুনে ঘরের ভিতর থেকেই হৈমন্তীর বোন বিরক্তির সুরে জবাব দেন, ‘আপনারা জানেন’। এরপর আবার হৈমন্তীর মা দরজার পর্দা সরিয়ে উঁকি মেরে বলেন, “কুলিগিরি করত।”
এদিন হৈমন্তীর মা দাবি করেন, বহুদিন আগেই গোপালের সঙ্গে মেয়ের ডিভোর্স হয়ে যায়।
একইসঙ্গে তিনি জানান, ৮-১০ দিন আগে হৈমন্তী আসে এখানে। দেখা করে চলে যায়। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার মেয়ে কোনও কিছুতে যুক্ত নয়। মেয়ে কী করতেন, কোথায় যেতেন কিছুই বলতে পারেননি হৈমন্তীর মা। তাঁর বক্তব্য, “কিছুই জানি না। আমার কাছে তো থাকেনি। যেখানে থাকে, সেখানে থেকে কী করেছে জানি না।”
Be the first to comment