রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। প্রসঙ্গ, দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে ‘হামলা’-র অভিযোগ। এনিয়ে পুলিস প্রশাসনের রিপোর্ট তলবের পাশাপাশি কড়া বিবৃতি এল রাজভবন থেকে। রাজ্যপালের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। সভ্যতা ও সংস্কৃতির এই পীঠস্থানে এই ঘটনা বিষ্ময়কর। প্রতিবাদ করা গণতান্ত্রিক অধিকার কিন্তু সেখানে হিংসার কোনও জায়গা নেই।
বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেওয়ার পর রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে এত কড়া বিবৃতি আগে কখনও জারি করা হয়নি। আজ ওই বিবৃতিতে রাজ্যপাল বলেছেন, নিশীথ প্রামাণিকের উপরে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহল থেকে অনুরোধ এসেছিল এ রাজ্যে যেন ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করা হয়। গোটা বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখেছেন। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা ঘটে উচিত নয়। গণতন্ত্রে প্রতিবাদ করাই যায় কিন্তু হিংসার কোনও জায়গা নেই। সংবিধানের প্রতি সবার দায়বদ্ধতা থাকা উচিত।
তবে এদিন রাজ্যপালের বিবৃতির পর মুখ খোলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। পরিস্থিতি, বাস্তব বিচার করে এই বিবৃতি কাম্য ছিল। আপনি রাজ্যপাল। আপনার একটা বিবৃতি এল না কেন যে বিএসএফকে সতর্ক হতে হবে। বাংলার এক যুবককে ১৮০টা গুলি দিয়ে ঝাঁঝরা করে মেরে ফেলা হয়েছে। কেন বিবৃতি দেননি রাজ্যপাল! একজন সিবিআইয়ের এফআইআর নেমডের সঙ্গে আপনি কথা বলছেন। তাঁকে সময় দিচ্ছেন। রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে জ্ঞাণ দেওয়ার আগে বিএসএফকে জ্ঞাণ দেওয়া উচিত। সিবিআইকে জ্ঞাণ দিন। তারপর আপনার এইসব চাকরি বাঁচানোর ট্রিটমেন্ট আপনি করবেন। রাজ্যপাল সম্মানীয়। তিনি তাঁর কথা বলতে পারেন। তবে রাজ্যপালের বক্তব্য কেন্দ্রের মনোভাবের যদি প্রতিফলন হয় তাহলে তার যুক্তিযুক্ত জবাবও আমরা দেব। রাজ্যপালের সোর্স পক্ষপাতদুষ্ট।
Be the first to comment