মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পর, শান্তিনিকেতনে রাতারাতি ধরনার প্রস্তুতি শুরু করে দিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বিশ্বভারতীর সঙ্গে জমি বিতর্কে জড়িয়েছেন অমর্ত্য সেন। এবার নোবেলজয়ীর পাশে দাঁড়িয়ে আগামি ৬ ও ৭ মে ধরনা দেবে তৃণমূল। শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ি ”প্রতীচী”র সামনেই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ধর্ণায় বসবেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা। অংশ নেবে চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন থেকে গায়ম কবীর সুমন-সহ আরও অনেক বুদ্ধিজীবী।
জমি বিতর্কে অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিশ ধরিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জমি হস্তান্তরের জন্য ৫ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে নোবেলজয়ীকে। নোটিশে স্পষ্ট উল্লেখ, ৫ মে মধ্যে জমি হস্তান্তর না করলে উচ্ছেদ করা হবে। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে জমির দখল নেবে বিশ্বভারতী।
বাঙালির গর্ব, দেশের গর্ব অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার ও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বীরভূমের তৃণমূল নেতাদের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, অর্মত্য সেনকে উচ্ছেদ করতে এলে, প্রয়োজনে বুলডোজারের সামনে বসে পড়তে হবে! সেইমতোই নোবেলজয়ীর অর্থনীতিবিদের বাড়ির সামনে ধরনা মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
অন্যদিকে, অমর্ত্য সেনও বিশ্বভারতীর নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে বীরভূম জেলা জজ কোটে মামলা করেছেন। সূত্রের খবর, জজ কোর্টের বিচারক এখন নেই। বিষয়টি জানানো হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারককে। তিনি জানিয়েছেন, ১৫ মে জজ কোটের বিচারক ফিরলে মামলাটি শুনবেন। তবে তার আগেই জমি ছাড়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বিশ্বভারতী। তাই অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি “প্রতীচী”র ঠিকানায় চিঠি পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে উল্লেখ, ”বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল রেখেছেন অমর্ত্য। সেই জমি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তরের অনুরোধ করা হচ্ছে”। এরপর শুরু হয় দু’পক্ষের আইনি লড়াই।
Be the first to comment