আগামী মঙ্গলবারই অমঙ্গলের ইঙ্গিত হাওয়া অফিসের কর্তাদের। ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড় মোকা সম্পূর্ণভাবে তৈরি না হওয়া পর্যন্ত সম্ভাব্য গতিপথ বলা কঠিন কিন্তু আন্দামান-নিকোবরে যে বড় প্রভাব পড়তে চলেছে তার আভাস মিলল। রবিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত এই মুহূর্তে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে ৮ তারিখ দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরের দিন অর্থাৎ ৯ তারিখ তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে যা ক্রমশ উত্তরের দিকে এগোবে। এরপর উত্তর আন্দামান সাগর এবং মধ্য বঙ্গোপসাগরে গিয়ে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। সেক্ষেত্রে উপকূলবর্তী এলাকায় এই ঘূর্ণাবর্তের গভীর প্রভাব পড়বে।
গত দুদিন ধরে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের পারদ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। আবহাওয়া অফিসের কর্তারা বলছেন এই পরিস্থিতি আগামী তিন চার দিন চলবে। সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরীর কারণে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প আকর্ষিত হচ্ছে। কলকাতার তাপমাত্রা প্রায় চল্লিশ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, বর্ধমানে ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা ছুঁতে পারে। আন্দামান এবং নিকোবরে মোকার সরাসরি প্রভাব পড়বে বলে জানা যাচ্ছে। সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ঘণ্টায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। একইসঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। মৎস্যজীবীদের আগামী ১২ মে পর্যন্ত আন্দামান সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বাংলায় মোকার প্রভাব:
হাওয়া অফিসের কথা অনুযায়ী প্রবল গরমে আপাতত ভুগতে হবে বঙ্গবাসীকে। উত্তরের দিকে হালকা ছিটে ফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হলেও সেটা মোটেই স্বস্তিদায়ক হবে না। বাংলার সব জেলায় তাপমাত্রা বাড়লেও এখনই তাপপ্রবাহের সতর্কতা দিতে নারাজ আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী ১১ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আলাদা করে বাংলার উপর এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত মোকা সম্পূর্ণভাবে সৃষ্টি হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
Be the first to comment