রাজ্যের প্রেক্ষাগৃহগুলিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে দ্য কেরালা স্টোরি সিনেমাটির প্রদর্শনী। আর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়ল জোড়া জনস্বার্থ মামলা। কেন সিনেমাটি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন অনিন্দ্য সুন্দর দাস নামে এক মামলাকারী। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। মামলাকারী অনিন্দ্য সুন্দর দাসের আবেদন, এইভাবে নোটিফিকেশন জারি করে সিনেমা বন্ধ করা যায় না। এটা বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের সামিল বলে দাবি মামলাকারারী এবং সেই কারণে রাজ্যের ওই নোটিফিকেশন খারিজ করার আবেদন করেছেন মামলাকারীর আইনজীবী।
এর পাশাপাশি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাটি নিয়ে দ্বিতীয় আরও একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। দ্বিতীয় মামলাটি করেছেন দেবদত্ত মাঝি নামে এক ব্যক্তি। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলাটিও দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। মামলাকারী দেবদত্ত মাঝিরও আবেদন, রাজ্যের জারি করা এই নোটিফিকেশন খারিজ করুক আদালত। এই ভাবে সিনেমা নিষিদ্ধ করা যায় না বলেই বক্তব্য মামলাকারী দেবদত্ত মাঝির আইনজীবীর। দুটি জনস্বার্থ মামলাই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য আবেদন করা হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহেই মামলা দুটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মে মুক্তি পেয়েছে সুদীপ্ত সেন পরিচালিত দ্য কেরালা স্টোরি সিনেমাটি। সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল বিতর্ক। আর সেই বিতর্কের মাঝেই গত ৮ মে রাজ্য সরকারের তরফে ওই সিনেমাটির রাজ্যের প্রেক্ষাগৃহগুলিতে প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সিনেমা (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৫৪-র ৬(১) ধারা অনুযায়ী সিনেমাটি নিষিদ্ধ হয়েছে রাজ্যে। রাজ্যের বক্তব্য, সিনেমাটি প্রদর্শিত হলে, তা ‘শান্তিভঙ্গের কারণ হতে পারে’ এবং ‘রাজ্যের শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য এবং হিংসা ও অশান্তির ঘটনা এড়াতে’ এটি দরকার ছিল।
উল্লেখ্য, রাজ্যে দ্য কেরালা স্টোরি সিনেমাটি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে চলচ্চিত্রের নির্মাতারা। আগামী ১২ মে মামলাটির সুপ্রিম কোর্টে শুনানির কথা রয়েছে। আর এরই মধ্য়ে কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়ল দুটি জনস্বার্থ মামলা।
Be the first to comment