এবার রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে খোলা হবে ‘বাংলার শাড়ি’-র আউটলেট। বৃহস্পতিবার, ‘উৎকর্ষ বাংলা’ পর্যালোচনা বৈঠকে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, বাংলার শাড়ি-এর দামও বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, ”বাংলার শাড়ি আউটলেটে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত শাড়ি পাওয়া যাবে।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, আপাতত ৩৬৫টি ব্লকে ‘বাংলার শাড়ি’-র আউটলেট খোলা হবে। কেউ ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে চাইলে তাও দেবে সরকার। এই দোকানগুলিতে শুধু মাত্র বাংলারই শাড়ি থাকবে। তবে, রাজ্যে তৈরি অন্যান্য পোশাকও বিক্রি হবে। মমতা বলেন, ”শুধু বাংলার শাড়ি নয়, বাংলার জামা কাপড় তৈরি হবে। সালোয়ার তৈরি করো, এখন তো বালুচরিও পাজামা-পাঞ্জাবি হয়, বালুচরির প্যান্ট, কোট হচ্ছে! সরকারের তরফ থেকে এক্সক্লুসিভ বাংলার শাড়ি নিয়ে দোকান দেব। বিশ্ব বাংলা যেমন এখন একটা ব্র্যান্ড হয়ে গেছে, তেমনই দোকান হবে।”
এই বিষয়ে একটি কমিটিও গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে রয়েছেন শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ইন্দ্রনীল সেন, অরূপ বিশ্বাসের পাশাপাশি উচ্চপদস্থ আমলারাও। মমতা বলেন, “শশী রোজ খুব সুন্দর সুন্দর শাড়ি পরে”। বৈঠকে ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে কৌতুকও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সহাস্য প্রস্তাব, “ইন্দ্রনীলকেই কমিটির চেয়ারম্যান করো”।
শাড়ি কোয়ালিটি নিয়েও বৈঠকে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ”মুর্শিদাবাদের সিল্ক কড়কড়া আছে। এখনকার মেয়েরা কড়কড়া শাড়ি পরতে পছন্দ করে না। বালুচরিতে আমি ফাইবারটা একটু হাল্কা করে দিয়েছি। এখনকার মেয়েদের জন্য শাড়ি হাল্কা ও পাতলা করতে হবে।” বাংলার গয়নাশিল্প ও হোসিয়ারি শিল্পর কথাও এদিন বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment