পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না ঘটে তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। রাজ্যের সমস্ত বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হল পুলিশ সুপার এবং কমিশনারদের। যেখানে বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি এই কর্মীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের কথা বলে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে যে ৬ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে,
*বেআইনি বাজি কারখানার সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে পুলিশকে।
*বেআইনিভাবে চলা বাজি কারখানাগুলিতে তল্লাশি চালিয়ে তা বন্ধ করতে হবে। এবং নিয়ম মেনে এইসব বাজি বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
*কীভাবে এই বাজি নষ্ট করতে হবে সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। বলা হয়েছে আদালতের নির্দেশ মেনে এই বাজি নষ্ট করতে হবে। পরিমাণ বেশি থাকলে অল্প অল্প করে তা করতে হবে।
*এই ধরনের বাজি কারখানা একবার বন্ধ করা হলে দ্বিতীয়বারে যাতে বাজি প্রস্তুতকারকেরা একই কাজ না করে সেটা স্থানীয় থানাকে নিশ্চিত করতে হবে।
*এই ধরনের বাজি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি অংশ। রাতারাতি কারখানা বন্ধ হলে তাঁদের রুজিরোজগারের যাতে সমস্যা না হয় তার জন্য অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে।
*এবং সর্বোপরি মানুষকে সচেতন করতে হবে প্রশাসনকে, এই ধরনের কারখানার ক্ষতির দিকটি তুলে ধরতে হবে সাধারণ মানুষের কাছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয় ৯ জনের। গোটা ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করা হয় এই কারখানার মালিক ভানু বাগকে। বিস্ফোরণে আহত অবস্থায় কটকের এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ভানু। এগরাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার জন্য একগুচ্ছ নির্দেশ দিল নবান্ন।
Be the first to comment