জেল থেকেই আদালতে চিঠি দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। সেই চিঠির ইতিমধ্যেই গড়িয়েছে অনেক দূর। একটা চিঠির জেরেই মামলা হয়েছে হাইকোর্টে, মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। সেই চিঠি নিয়ে প্রশ্ন করতেই এবার জেলে পৌঁছে গেল সিবিআই। বুধবার বিকেলে সিবিআই-এর দুই অফিসার পৌঁছেছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। জেলের অন্দরে একটি ঘরেই কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। সিবিআই-এর ডিএসপি ও ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার দুই অফিসার গিয়েছেন কুন্তলকে প্রশ্ন করতে। ওই চিঠিতে কুন্তল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, জেলে তাঁকে অভিষেকের নাম বলতে চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, শহিদ মিনারে সভা করতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, সারদা-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষদের নাকি তাঁর নাম বলতে চাপ দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনার পরই কুন্তল ঘোষও সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন, তাঁকে অভিষেকের নাম বলতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। একজন রাজ্যের শাসক দলের সাংসদ, অন্যজন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত। তাঁদের বয়ান মিলল কীভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই হাইকোর্ট অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বলেছিল।
বেঞ্চ বদল হলেও একই নির্দেশ বহাল থাকে। গত শনিবারই ওই মামলায় অভিষেককে সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। এবার সেই একই ইস্যুতে প্রশ্নের মুখোমুখি কুন্তল। কেন চিঠিতে অভিষেকের নাম নিলেন? অভিষেকের সঙ্গে বয়ানে মিল কীভাবে? এই সব প্রশ্ন নিয়েই কুন্তল ঘোষের কাছে গিয়েছে সিবিআই।
অভিষেক ও কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না ওয়াকিবহাল মহল। দুজনের বয়ানে যদি কোনও অসঙ্গতি পাওয়া যায়, তাহলে মুখোমুখি বসাতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। অভিষেক অবশ্য ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তিনি কুন্তল ঘোষকে চেনেন না, কোনওদিন দেখেননি।
Be the first to comment