তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির মাস পূর্তিতে ঝাড়গ্রামের গড় শালবনিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় লক্ষ্য করে হামলা এবং রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আরও কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের। বর্বরোচিত ওই ঘটনার তদন্তভার নিল হাতে নিল CID। আজ, সোমবার থেকেই তদন্তে নেমে পড়েছেন CID আধিকারিকরা।
ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতো সহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। রবিবার রাতে নিশিকান্ত মাহাতো নামে আরও একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, CID আধিকারিকদের এই ঘটনা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি ও তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে।
কনভয়ে হামলার ঘটনার পরই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযুক্ত মোট ১৫ জন। স্রেফ দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নয়,পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই ঘটনার তদন্তভার গেল CID-র হাতে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রামের লোধাশুলিতে তৃণমূলের নবজোয়ারে কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে গড় শালবনির কাছে কুড়মিদের একাংশ রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখতে থাকে। যার নেতৃত্বে ছিলেন রাজেশ মাহাতো।কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কনভয় থেকে নেমে তাঁদের কথা শোনার আগ্রহ প্রকাশ করেন, তখন কেউ আসেনি। এরপর অন্ধকার থেকে কনভয় লক্ষ্য করে ইট, পাথর, মদের বোতল ছোঁড়া হয়। অভিষেক অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও ভাঙচুর করা হয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি। এই ঘটনায় গুরুতর চোট পান বীরবাহার গাড়ির চালক। একাধিক সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আহত হন সাংবাদিকরাও। হামলাকারীদের মুখে ছিল জয় শ্রীরাম স্লোগান। যদিও কুড়মিদের স্লোগান জয় গরাম।
খুব স্বাভাবিকভাবেই কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরাও কমিটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেন। তৃণমূলের অভিযোগ, কুড়মিরা নয় তাদের মুখোশের আড়ালে টাকা ঢেলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে আসলে বিজেপি। শাসক দলের অভিযোগ আরও মজবুত হয়, যখন দেখা যায় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়িয়ে টুইট করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
Be the first to comment