করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর!

Spread the love

করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় বিপর্যস্তদের পাশে সবার আগে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র বাংলার সরকারের তরফ থেকে তড়িঘড়ি একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়।বাংলা থেকে ওড়িশায় প্রতিনিধি দল পাঠায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ওড়িশা সরকার এবং ভারতীয় রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে সারা রাত ধরে প্রতিমুহূর্তের আপডেট নিয়েছেন। আজ আবহাওয়া অনুকূল থাকলে হেলিকপ্টারে ঘটনাস্থলে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বলেই মনে করা হচ্ছে।

পানপানা-বাহানগা স্টেশনের মাঝে শুক্রবার সন্ধ্যায় লাইনচ্যুত শালিমার- চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস! এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৩। কোনওমতে রক্ষা পেয়েছে ৩ বগি! হাওড়া থেকে বাতিল একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন, বিপাকে যাত্রীরা। নবান্নে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। বালেশ্বরে রাজ্যের প্রতিনিধি দল। গতকাল রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লেখেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় বালেশ্বরের কাছে একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাত্রিবাহী শালিমার-করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। আমাদের কয়েক জন মানুষ গুরুতর জখম হয়েছেন। আমরা আমাদের রাজ্যের যাত্রীদের জন্য ওড়িশা সরকার এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।’ মুখ্যমন্ত্রী টুইটেই জানিয়ে ছিলেন যে ওড়িশা সরকার এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করতে এবং উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করার জন্য ঘটনাস্থলে ৫-৬ সদস্যের একটি দল পাঠানো হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে এই বিষয়ে যোগাযোগ রাখছেন। কীভাবে এই দুর্ঘটনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছেন বিরোধীরা। একই স্টেশনে বেলাইন ৩ ট্রেন, দশকের অন্যতম ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*