মর্মান্তিক! আমার জীবনে এত বড় রেল দুর্ঘটনা দেখিনি: দোলা সেন

Spread the love

দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। এখনো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৮। প্রতি মুহূর্তে লাফিয়ে বাড়ছে আহতের সংখ্যাও। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তড়িঘড়ি রাজ্যের তরফে বিশেষ টিম পাঠিয়ে দেন দুর্ঘটনাস্থলে। রাতেই প্রতিনিধি হিসেবে বালেশ্বরে পৌঁছেছেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন ও রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। চোখের সামনে মৃত্যু মিছিল দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না দোলা সেন। সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, “মর্মা.ন্তিক! আমার জীবনে এত বড় রেল দু.র্ঘটনা দেখিনি”।

ড্রোন উড়িয়ে চলছে নজরদারি, দুমড়ে মুছড়ে যাওয়া কামড়ায় যাত্রীদের আটকে থাকার আশঙ্কা। সোরো এবং বাহানগর হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে। বালেশ্বর হাসপাতালেও যত দ্রুত সম্ভব আহতদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনার স্থলে পৌঁছে যাবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার দিকে গতকাল রাত থেকেই নজর রেখেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। নবান্নে বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সকালে দোলা সেন জানান, এই মুহূর্তে কোনও রকমের রাজনীতি নয়, বরং বিপর্যস্তদের পাশে দাঁড়ানোই সবার আগে দরকার। সাংসদের কথায় পরিষ্কার তিনি এই দুর্ঘটনার অভিঘাতকে এভাবে চাক্ষুষ করে রীতিমতো মর্মাহত। যেন নিজের চোখে বিশ্বাস করতে পারছেন না। আহতদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সাহায্যে ওড়িশা সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলা। আজ দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখার পর হাসপাতালে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ, ভদ্রক, কটক সহ সে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আহতদের। যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁদের সঠিক চিকিৎসার দিকে নজর দেওয়াই এই মুহূর্তে প্রধান কাজ। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। বলছেন, করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং হামসফর এক্সপ্রেস এই দুটি ট্রেনেই প্রচুর বাঙালি যাতায়াত করেন। সেক্ষেত্রে মৃত এবং আহতর সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তাই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন দোলা সেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*