পরিবারতন্ত্র থেকে আর্থিক কেলেঙ্কারি- টুইটে মোদিকে ধুয়ে সাফ অভিষেকের

Spread the love

পরিবারতন্ত্র থেকে শুরু করে বিজেপির আর্থিক কেলেঙ্কারি- সব বিষয় নিয়ে টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তুলোধনা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে রয়েছেন অভিষেক। সেখানেই মঙ্গলবার বেশি রাতে টুইটে মোদির কুৎসার পাল্টা জবাবে ধুইয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ।

প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর নিজের কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়ে অভিষেক লেখেন, কখনও মানুষকে তাঁর নিজেরই পরামর্শ অনুসরণ করা উচিৎ। আগে নিজে সেই কাজটি করুন যা অন্যকে বলে থাকেন। টুইটে অন্তত ১৪০ জনেরও বেশি বিভিন্ন বিজেপি নেতৃত্বের ছবি দিয়ে তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লেখেন, পরিবারবাদ কাকে বলে একবার দেখা যাক। সেখানে একের পর এক বিজেপি নেতাদের এবং তাঁদের, পিতা, পুত্র, কন্যা, পুত্রবধূদের দেখা যায়। রাজনীতিতে বড়সড়ো জায়গায় রয়েছেন তাঁরা। স্পষ্ট বোঝা যায়, পরিবারবাদ বিজেপির রন্ধ্রে রন্ধ্রে।

এর পাশাপাশি তাঁর জমানায় ব‌্যাপম কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে রাফায়েল দুর্নীতি, নীরব মোদি-বিজয় মালিয়াদের ব‌্যাঙ্কের টাকা লুঠ করে ফেরার হওয়া, আদানির শেয়ার কেলেঙ্কারি, নারদ কেলেঙ্কারিতে এফআইআরে নাম থাকা সত্ত্বেও শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারি না হওয়া এসব নিয়ে একটি কথাও প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা যায়নি। ২০১৪ থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বকালে দেশে ঐতিহাসিক সব চুরি-জোচ্চুরি, জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক স্ক্যাম সামনে এসেছে। অথচ সেই তিনি কথা বলছেন বাংলার বিষয় নিয়ে। বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম কেলেঙ্কারির মতো শিক্ষাক্ষেত্রে এতবড় দুর্নীতি গোটা দেশে নেই। যার অভিযোগ এবং তদন্ত করতে মৃত্যু হয়েছে বহু লোকের। সাংবাদিক থেকে তদন্তকারী অফিসার, বাদ নেই কেউই। অথচ সেসব কথা একবারও প্রধামন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে না। শোনা যায় না তাঁর আমলে ঘটে যাওয়া দুর্নীতির কোনও বিশ্লেষণ। ত্রিপুরায় ১০,৩২৩ শিক্ষকের চাকরি কেড়ে নিয়েছে বিজেপি সরকার। অথচ বাংলার বদনাম করার জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েও নিজেকে বিজেপি নেতার উপরে তুলতে পারলেন না মোদি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*