ভাঙড়ে অশান্তির নেপথ্যে আইএসএফের মদত। ডায়মন্ড হারবার পৌঁছে সাংবাদিকদের মুুখোমুখি হয়ে এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চোপড়া, ইসলামপুরে মনোনয়ন পর্ব ঘিরে যে যে অশান্তি হয়েছে, তার কোনওটার সঙ্গেই জড়িত নয় তৃণমূল। যারা এসব করেছে, তাদের দল প্রার্থী হতে দেয়নি। কারণ, তাঁদের কাজে অসন্তুষ্ট দল। এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে আসেন ভাঙড়-সহ একাধিক এলাকার ৮২জন আইএসএফ প্রার্থী। পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ভাঙড় ও কাশীপুর থানা থেকে প্রার্থীদের নিয়ে পুলিশ মনোনয়ন দিতে যায়। অভিযোগ, শোনপুর বাজারের কাছে পুলিশের সঙ্গে থাকা দলটিকে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সরে যায়। প্রার্থীদের উপরে হামলা শুরু হয়। চলে গুলি। মৃত্যু হয় মহিউদ্দিন নামে আইএসএফ প্রার্থীর। আরও বেশ কয়েকজন জখম হন। এ নিয়ে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তোলেন।
একদিকে ভাঙড়ে অশান্তি, অন্যদিকে ডায়মন্ড হারবারে মুখ্যমন্ত্রীর সফর। শুক্রবার কাকদ্বীপে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির সমাপ্তি। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের এই কর্মসূচিতে থাকবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। সেই কারণে আজই তিনি পৌঁছে গিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারে। সেখান থেকে মনোনয়ন পর্বে টানা অশান্তি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য়, ”ভাঙড় যা হচ্ছে, তা আইএসএফের মদতে হচ্ছে। তৃণমূলের কেউ এতে জড়িত নয়। এর আগেও চোপড়া, ইসলামপুরে যে ঝামেলা, অশান্তি হয়েছে, তার কেউ তৃণমূল নয়। ওরা আমাদের দল থেকে টিকিট চেয়েছিল, কিন্তু পায়নি। কারণ, ওদের কাজে আমরা সন্তুষ্ট নই। শেষদিন পর্যন্ত টিকিটের দাবি করে গিয়েছে। চোপড়া-ইসলামপুরে তারাই অশান্তি বাঁধিয়েছে। আমি বলছি, যে বা যারাই এসব করে থাকুক, কঠিন শাস্তি হবে।”
Be the first to comment