কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে গতকালই বড় ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে চলেছে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার রাতে কিংবা শনিবারের মধ্যেই আবেদন ই-ফাইলিং করার সম্ভাবনা বলে জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশের পর গতকাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেছিলেন, কমিশন হাইকোর্টের নির্দেশের সঙ্গে ‘কমপ্লাই’ করবে। রাজীব সিনহার সেই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ‘সুপ্রিম’ দুয়ারে যাওয়ার প্রস্তুতি কমিশনের।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশের পরই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এমন সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। সেই কারণে তিনি আগেভাগে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। গতকাল পঞ্চায়েত নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে ‘ঐতিহাসিক রায়’ বলে মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে এও জানিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি, যাতে রাজ্য বা কমিশন এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি একতরফা না হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, আজ কাকদ্বীপের সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মুখ খুলেছেন। অতীতে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেও অশান্তি থামানো যায়নি, সেই কথাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। এদিকে আবার আজ বিকেলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে বিশেষ বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বি পি গোপালিকা এবং এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম। আর এসবের পরেই জানা যায়, রাজ্য ও কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে চলছে।
Be the first to comment