গতকালই ভাঙড় গিয়েছিলেন। আর আজ সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ক্যানিংয়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস৷ মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ের মতোই কয়েকদিন আগে অশান্ত হয়ে উঠেছিল ক্যানিংও৷আজই রাজ্যপালের কলকাতার বাইরে যাওয়ার কথা ছিল৷১৯ জুনের পর ফেরার কথা ছিল তাঁর৷
কিন্তু সেই সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করেই ক্যানিং যান তিনি৷ বেলা তিনটের পর রাজ ভবন থেকে ক্যানিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাজ্যপাল৷এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলবেন রাজ্যপাল। বৈঠক করেন পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে।হাসপাতাল মোড়ে থামে রাজ্যপালের কনভয়। সেখানে স্থানীয় মানুষ সরাসরি রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন।এদিন ক্যানিংয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গেও রাজ্যপাল কথা বলেন।ক্যানিংয়ে পৌঁছেই সেচ দফতরের একটি ভবনে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। বিরোধী প্রার্থীরা রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে উপস্থিত হন।যদিও বিডিও অফিসে তাদের সঙ্গে রাজ্যপাল কথা বলবেন বলে জানানো হয়।
তৃণমূল অবশ্য রাজ্যপালের এই হঠাৎ ‘সফর’ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রাজ্যপালকে ‘বিজেপির এজেন্ট’ বলে কটাক্ষ করেন। বাম, কংগ্রেস, বিজেপির মিথ্যা অভিযোগে রাজ্যপাল ‘ধুনো দিচ্ছেন’ বলেও অভিযোগ করেন। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এত বড় নির্বাচন, এত বুথ। সেখানে এই গোলমাল করছে কারা? আইএসএফ, বিজেপি আর বিরোধীরা। সেখানে রাজ্যপাল এমন বিবৃতি দিচ্ছেন যেন তৃণমূল করছে সব। পাশের রাজ্য মণিপুর দেখেছেন? উপনিষদের মতো বাণী দিলে হবে? তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ”৯৯.৯৯ শতাংশ এলাকায় শান্তিপূর্ণ কাজ হচ্ছে। অবাধে বিরোধীরা মনোনয়ন দিয়েছেন। রাজ্যপালের উচিত ৬০,৯০০ উপর বুথ। আমাদের ছেলেরা মারা যাচ্ছেন। রাজ্যপাল উসকানি দিচ্ছেন। আগুনে ঘি ঢেলেছেন। দিল্লির দূত হিসাবে দিল্লির প্রচারক হিসাবে কাজ করছেন।
অন্যদিকে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, রাজ্যপাল মণিপুর-উত্তরপ্রদেশের দিকে না তাকিয়ে রাজভবন ছেড়ে ভাঙড়, ক্যানিংয়ে কেন? কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভয় তৃণমূল পায় না।
Be the first to comment