ভোট মিটতেই ফের নন্দীগ্রামেগেরুয়া সন্ত্রাস। বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে আজ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে গিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, সৌমেন মহাপাত্র, ঋজু দত্ত সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। এদিন সকালে কলকাতা থেকে তাঁরা নন্দীগ্রাম যান। মূলত, ঘরছাড়াদের তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ফেরানো এবং মিছিল। তিন জায়গায় কর্মসূচি। একটি প্রতিবাদ মিছিলও হয়েছে।
অন্যদিকে, বিকেলে এসএসকেএম হাসপাতালে যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আহত ট্রমা কেয়ারে চিকিৎসাধীন আহত তৃণমূল কর্মীদের দেখতে যাবেন। পাশাপাশি সবরকম ভাবে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেবেন বলেই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দলবদলু শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামেও ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। এরপর সেখানে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। অভিযোগ, শুভেন্দুর নির্দেশে বাইরে থেকে লোক এনে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর ব্যাপক হানলা চালাচ্ছে বিজেপি।
নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের উপর দেদার হামলা, বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চলছে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত ১৮ জন তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও পৌঁছায় সেই খবর।তাঁর হস্তক্ষেপে তাঁদের নন্দীগ্রাম হাসপাতাল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বৃহস্পতিবার।
এদিন বেশ কয়েকটি কর্মসূচি পালন করে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। প্রথমে বয়াল-২এ কিনিপুর গ্রাম। সেখানে বিরুলিয়া বাজার পার্টি অফিসে ছিল, তাদের আজ বাড়ি পৌঁছে দেয়।
দ্বিতীয় কর্মসূচি ছিল জালপাই- ভেকুটিয়া। মানুষের অভিযোগ শোনেন কুণাল-শশী। এবং আই সি সুমন রায় চৌধুরীকে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানান। এরপর মনুচক জালপাই। যেখানে তৃণমূলের মহিলা প্রার্থীকে ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে বিজেপির গুন্ডারা। অথচ অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুলিশ ২৪ ঘন্টা সময় চেয়েছে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে তৃণমূল।
Be the first to comment