তৃণমূলের একুশে সমাবেশে ৫ হাজার পুলিশকর্মী, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শহর

Spread the love

সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে দুরন্ত সাফল্যের এবার একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ অন্যমাত্রা পেতে চলেছে। এবার সমাবেশকে প্রথমে “বিজয় দিবস” হিসেবে পালন করার কথা থাকলেও পরে ‘‘শ্রদ্ধা দিবস” হিসেবে পালন করার ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরের ও দূরবর্তী জেলাগুলি থেকে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা আসতে শুরু করে দিয়েছেন কলকাতায়। তাঁদের বিভিন্ন জায়গায় থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে একুশে জুলাইয়ের রেকর্ড জমায়েতের কথা মাথায় রেখে পুলিশ-প্রশাসনও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। আজ, বুধবার ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউজ়ের সামনে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ পরিদর্শনে করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ পুলিশের পদস্থ কর্তারা। শুধু মঞ্চই নয়, মঞ্চের আশপাশের চত্বরও ঘুরে দেখেন পুলিশ কর্তারা।

মূলত ভিভিআইপি’রা কোথায় থাকবেন, সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের ভিড় কোথায় থাকবে, সেই সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বিশাল ভিড়ের মধ্যে নিরাপত্তায় যাতে কোনও খামতি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে তৎপর কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়। কারণ, ওইদিন শহর ও শহরতলী থেকে লক্ষাধিক মানুষ বিভিন্ন গাড়িতে আসবেন। রাজপথে বড় বড় মিছিলও সভামুখী হবে।

পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানাচ্ছেন, পুলিশের তরফে অনেকদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকদফা বৈঠক হয়ে গিয়েছে পুলিশের। মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে পুলিশের আলাদা আলাদা টিম কাজ করছে। নিরাপত্তা, যান-চলাচল ও আইন-শৃঙ্খলা… মূলত এই তিনটি বিষয়ের উপরেই জোর দিচ্ছে পুলিশ।

এবার একুশে জুলাইয়ের জন্য শহরে কলকাতা পুলিশের প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী মোতায়েন থাকবেন। হেভিওয়েট রাজনীতিকদের কথা মাথায় রেখে, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি যান-চলাচলের ক্ষেত্রে এবং শহরের সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টির দিকেও নজর রাখছে পুলিশ। একুশে জুলাইয়ের ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশ-প্রশাসন সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং কোথাও কোনও সমস্যা হবে না বলেই আশ্বস্ত করছেন কলকাতার নগরপাল।

লালবাজার সূত্রে খবর, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার ৩১ জন অফিসার থাকছেন একুশে জুলাইয়ের জন্য। পাশাপাশি যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার ৮ জন অফিসার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার ৮০ জন অফিসার থাকবেন। একইসঙ্গে বহুতল বিল্ডিংগুলির ছাদ থেকেও নজরদারি চালাবে পুলিশ। ২০টি ছাদ বেছে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৮টি অ্যাম্বুলেন্স, ৪৮টি কিয়স্ক প্রস্তুত রাখা হবে বলে খবর। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ৪টি দল এবং কুইক রেসপন্স টিমের ৬টি দলকেও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে একুশে জুলাইয়ের জন্য।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*