পঞ্চায়েতের জয় নিয়ে উচ্ছ্বাস নয়, বরং শুক্রবার, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মণিপুরের প্রতি সহমর্মিতার বার্তা দিলেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহাসমাবেশের মঞ্চ থেকে মণিপুরের হিংসা নিয়ে বিজেপি তথা মোদি সরকারকে তুলোধনা করেন তিনি। মণিপুরের নিহত ও যৌন নির্যাতিতা দুই মহিলার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে ১মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এদিন মঞ্চ থেকে তৃণমূল সভানেত্রীর বক্তৃতার অধিকাংশ জুড়েই থাকল মণিপুরে মহিলাদের উপর নির্মম অত্যাচারের তীব্র নিন্দা৷ মোদি সরকারকে নিশানা করে মমতা বলে, ‘‘বেটি বাঁচাও স্লোগান কোথায় গেল? বেটি জ্বলছে৷ মণিপুর জ্বলছে, গোটা দেশ জ্বলছে৷ কুস্তিবীরদেরও তাই হয়েছে৷ বিলকিস কাণ্ডেও তাই হয়েছে৷ ধর্ষকদের জামিনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন৷’’
মমতা জানান, ‘‘বাংলা ও I.N.D.I.A.-র পক্ষ থেকে আমরা মণিপুরের মানুষকে সলিডারিটি জানাই। বেটি বাঁচাও স্লোগান কোথায় গেল বিজেপি? আজ বেটি জ্বলছে। মণিপুরে, দেশে। বিলকিসের ওপর যারা অত্যাচার করেছিল তাদের ছেড়ে দিয়েছেন। বক্সারদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিলেন না। আর মণিপুরে এই অবস্থা। আগামীর ভোটে মহিলারা বিজেপিকে ছুড়ে ফেলে দেবে।’’
সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘‘মা-বোন-বেটিদের জন্য আপনার মনে কি একটুও দুঃখ হয় না! কথায় কথায় বাংলার দিকে আঙুল তোলেন। আমার একটাই বিনীত প্রশ্ন আপনার কাছে, আর কতদিন বেটি জ্বলবে, দলিত জ্বলবে, মানুষ মরবে। আর কতদিন? মণিপুর আমরা ছাড়ছি না৷’’
গত কয়েক মাস ধরে মণিপুরে কমপক্ষে ১০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মণিপুর মহিলাদের নিয়ে নির্মম ভিডিও সামনে এসেছে। এদিন বিরোধী জোট INDIA তরফে মণিপুরে প্রতিনিধি দল পাঠানোর পরিকল্পনার কথাও বলেন মমতা। তিনি জানান, এই বিষয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। INDIA-এর পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীদের এক প্রতিনিধিদলের মণিপুরে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। সেখানে দিয়ে শিবিরে থাকা মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে চান। সবশেষে হয় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
Be the first to comment