দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় কড়া পদক্ষেপ তৃণমূলের। দল বিরোধী মন্তব্য করার জন্য শোকজ করা হল ভরতপুরের দলীয় বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। আগেই বিধনাসভায় হুমায়ুন কবীরের ভূমিকার সমালোচনা করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত তাঁকে শো-কজের চিঠি পাঠাল তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার, বিধানসভার অধিবেশনে বক্তৃতায় নাম না করে ভরতপুরের দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে আমাদের দলের এক জন আছেন, যিনি মাঝেমধ্যেই হুঙ্কার দেন। গুন্ডামি করেন। আমাদের দলে থাকলেও তাঁর কাজকর্মকে আমি সমর্থন করি না।‘‘ এর পরই হুমায়ুনের শাস্তি এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়। সূত্রের খবর, শনিবারই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির তরফে শো-কজের চিঠি পান হুমায়ুন। তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে হুমায়ুনকে শো-কজ করা হয়েছে বলে জানান মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ও।
হুমায়ুন কবীর জানান, “দল আমাকে সাত দিনের মধ্যে উত্তর দিতে বলেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দলকে জবাব দেব। তার পর দল যা সিদ্ধান্ত নেবে।” বর্তমানে বিধানসভার ২টি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে রয়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক । ‘পেপার লেড স্ট্যান্ডিং কমিটি’-র চেয়ারম্যান এবং বিদ্যুৎ দফতরের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন। সে কথা দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে জানিয়ে দিয়েছেন বিধানসভার উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়। শোকজের পরে হুমায়ুনকে কমিটির দায়িত্ব থেকেও সরানো হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment