জাতিদাঙ্গার আগুনে পুড়ছে মণিপুর। কিন্তু লোকসভায় এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিমধ্যেই বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দল দুদিনের সফরে মণিপুর গিয়েছিলেন। সেখানে নির্যাতিতার পরিবারের সুবিচারের দাবি নিয়ে মণিপুরের রাজ্যপালের কাছে সোচ্চার হন তাঁরা। দিল্লিতেও অনাস্থা প্রকাশ করা হয়েছে। এবার রাজ্য বিধানসভায় আজ সোমবার নিন্দা প্রস্তাব আসতে চলেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই প্রস্তাব আনা হবে বলে গত শুক্রবার সকলকে জানিয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মণিপুর নিয়ে আলোচনা পর্বে তিনি বক্তব্য রাখবেন বলে জানা যাচ্ছে।
গত শনিবার ইন্ডিয়া তরফে একটি দল গিয়ে মণিপুরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে। রবিবার সন্ধ্যায় যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে মণিপুরের ঘটনার প্রতিবাদে একটি মিছিল করা হয়। উত্তর-পূর্বের রাজ্য থেকে প্রতিনিধি দল ফেরার পর একটি মর্মস্পর্শী টুইট করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘ওই রাজ্যের ঘটনাগুলি শুনে আমার হৃদয়তন্ত্রীতে ঝড় উঠেছে। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এবং নিষ্ঠুরতা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।’ তৃণমূল কংগ্রেস সহ দেশের বিজেপি বিরোধী বাকি দলগুলিও মোদি- শাহ সরকারের অপদার্থতার দিকেই আঙুল তুলছে। সবমিলিয়ে ঘরে বাইরে লোকসভা নির্বাচনের আগে মণিপুর নিয়ে যথেষ্ট চাপে কেন্দ্র সরকার। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে কি আদৌ শান্তি ফিরবে, এখন এটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন।
Be the first to comment