যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপ কুণ্ডু নামে প্রথম বর্ষের এক মেধাবী ছাত্রের। নিছক দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিহত ছাত্রের বাবাকে ফোন করে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে গোটা ঘটনার জন্য রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে নিশানা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ট্যুইটে রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
ট্যুইটারে ব্রাত্য বসু লেখেন, ”বিজেপি চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিটি বিষয়েই রাজ্য সরকারের খুঁদ ধরতে। যেমন এই যে আমি এই ট্যুইট করছি এখন যদি কোনও গাছ থেকে পাতা পড়ে, এটাও তাদের কাছে রাজ্য সরকারের খামতিই মনে হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি আমাদের দায়ী করার ব্যস্ততায় ভুলে গিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখন সরাসরি রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণাধীন। তাই এই নিন্দনীয় ঘটনা না আটকাতে পারা তাঁর ব্যর্থতা এবং ব্যর্থতা তাঁর রাজনৈতিক গুরুদেরও।”
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিশ্ব বিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমিতাভ দত্তকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর প্রতিক্রিয়া ছিল, “এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। উনিই তো নিয়োগ করেছিলেন। তাছাড়া উপাচার্য হিসাবে উনি কোন সুযোগ সুবিধা নিচ্ছিলেন না।” খুব স্বাভাবিকভাবেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার দায়ও নিতে হবে রাজ্যপালকে।
Be the first to comment