কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ অক্টোবর দিল্লিতে তৃণমূল ছাত্রযুবর ধর্নায় যোগ দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সোমবার, বেহালায় অনুষ্ঠানে বাংলার বকেয়া নিয়ে তোপ দাগেন তৃণমূল সভানেত্রী। বলেন, “২ অক্টোবর ছাত্র যুব আন্দোলনের পাশে আমি নিশ্চই থাকব।” একই সঙ্গে সাফ জানিয়ে দেন, “এনআরসি আটকে দিয়েছি। অভিন্ন দেওয়ানি বিধিও আটকে দেব।“
রাজ্যের বকেয়া আদায়ে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে আগেই আগামী ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে দিল্লি চলার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আন্দোলনে যোগ দেবেন তৃণমূল সভানেত্রী। এদিন বেহালার সভা থেকে একের পরে উদাহরণ তুলে কেন্দ্রের মোদি সরকারের তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “কথায় কথায় আমাদের প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। কথায় কথায় বুলডোজ করে আমাদের টাকা আটকে দেয়। কিন্তু আমার সঙ্গে পারে না। ওদের যত রাগ বাংলার উপরে। আমারও যত রাগ ওদের উপরে। ওরা যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয় এটা করব, আমি তা করি না। ওরা যদি চেষ্টা করে এই প্রকল্পটা বন্ধ করে দিয়ে বাংলাকে ভাতে মারব তাহলে আমি বলি তোমার ক্ষমতা তোমার দেখাও আমার ক্ষমতা আমি দেখাব। বাংলা যাতে ভাতে না মরে তার ব্যবস্থা করার ক্ষমতা আমার আছে।“
মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, “বাংলার বাড়ি তৈরির টাকা বন্ধ, রাস্তা তৈরির টাকা বন্ধ। একশো দিনের কাজের ৭ হাজার কোটি টাকা দেয়নি। এই টাকা কি কেন্দ্র একা দেয়? না। আমরা আগে সেল ট্যাক্স, ভ্য়াট তুলতাম। এবার কেন্দ্র বলছে একটাই ট্যাক্স-জিএসটি। এখন তুমি যে আমার এখান থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছ তো আমার ভাগের টাকা দাও। সেই টাকা দিচ্ছে না। আমরা ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা পাই। প্রধানমন্ত্রীকে ৪-৫ বার বলেছি। এখান থেকে মন্ত্রীদের দল গিয়েছে। আর কতবার বলতে হবে! আমরা ভিক্ষে চাই না। আমার জানি আন্দোলন কাকে বলে। আগামী ২ অক্টোবর ছাত্রযুবরা দিল্লিতে গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্না দেবে। সংসদে সব রাজ্যের টাকার হিসেবে দিয়েছে। বাংলার জায়গায় বড় একটা শূন্য দিয়ে দিয়েছে।“
মমতার কথায়, দিল্লি সরকারের আয়ু আর ৬ মাস। তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল সভানেত্রীর কথায়, “আমরা নিজেদের রাজকোষ থেকে ২৮ দিনের কাজ দিয়েছি। একশো দিনের কাজ ওরা যদি না দেয় ৬ মাস পরে তো থাকবে না। আমরা না দিলে তোমরা পারবে না।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এর আগে কেন্দ্র এনআরসি করতে চেয়েছিল কেন্দ্র। রুখে দিয়েছিলেন তিনি। এবারও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চাপানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কিন্তু তৃণমূল সভানেত্রী থাকতে সেটা করতে দেবেন না। মমতা আশ্বাস দেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধিও আটকে দেবেন তিনি।
রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস। তার আগে কেন্দ্রের স্বাধীনতা হরণ নিয়েও আক্রমণ করেন তৃণমূল সভানেত্রী। তাঁর কথায়, একসময় আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ছিল। এখন আর নেই। পেগাসাস এখন আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।
Be the first to comment