স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন রাষ্ট্রপতি। দেশবাসীর উদ্দেশ্য়ে ভাষণে নারীশক্তির হয়ে সওয়াল করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের ভূমিকা ও চন্দ্রযানের সাফল্যতেও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্য কামনা করেছেন তিনি।
এদিনের ভাষণে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বললেন, ” যেভাবে দেশে মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতায়নকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তাতে আমি দারুণ খুশি। আমি দেশের সমস্ত নাগরিকদের কাছে অনুরোধ জানাবো তারা যেন মহিলাদের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেন”। মহিলারা যেমন দেশের উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে, তেমনই আর্থিকভাবে তারা অনেকটাই স্বনির্ভর হয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রপতি। তাঁর কথায়, “ভারত মাতার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন মাতঙ্গিনী হাজরা ও কনকলতা বড়ুয়া। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর যোগ্য সহধর্মিণী ছিলেন কস্তুরবা গান্ধী। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটা বড় উদ্দেশ্য ছিল দেশের মহিলাদের উন্নয়ন ঘটানো।”
এদিনের বক্তৃতায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ভারত উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়াও কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষা নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাষ্ট্রপতি। এদিন তিনি বলেন, “২০২০-তে জাতীয় শিক্ষা নীতি চালু হওয়ার পর থেকেই শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক বদল এসেছে। এর জেরে আগামী দিনে আরও বাড়বে নারী শিক্ষার হার।”
এদিন তিনি আরও বলেন, আজ মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নতুন গবেষণার দিকে এগোচ্ছে। চাঁদের মাটিতে নামবে ভারতের চন্দ্রযান। তার জন্য অপেক্ষা করে আছি আমরা। এটা হল একটা সিঁড়ি। গবেষণার ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাব আমরা।” কেবল দেশে মহিলাদের অগ্রগতি নয়, বিশ্বের দরবারেও ভারত সঠিক স্থানে উন্নীত হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে তিনি বলেন, “গোটা বিশ্বে উন্নয়ন এবং মানবিকতার প্রচারে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আন্তর্জাতিক ফোরামের নেতৃত্বও গ্রহণ করেছে ভারত।” এপ্রসঙ্গে জি-২০-র সভাপতিত্বের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি।
Be the first to comment