জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু বার্ষিকীতে কাশ্মীরে শেষ হয়েছিল প্রথম পর্ব। লোকসভার আগে ফের শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা। এই কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে আগামী ২ অক্টোবর গান্ধীজির জন্মদিনে। এবং তা শুরু হবে গান্ধীজির জন্মস্থান গুজরাতের পোরবন্দর থেকে। এবার পথ পশ্চিম থেকে পূর্ব। পোরবন্দর থেকে অরুণাচল প্রদেশের পরশুরাম কুণ্ড। গুজরাত থেকে শুরু করার অন্য একটি তাৎপর্য রয়েছে। একদিকে যেমন গান্ধীজির জন্মস্থান, অন্যদিকে মোদি-শাহের রাজ্য।
তবে রাহুল গান্ধী চাইছেন এবার ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচি শুধু কংগ্রেসের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে তা মোদি বিরোধী মহাজোট “INDIA”র মধ্যে সঞ্চালন করতে। ফলে যাত্রার পশ্চিমবঙ্গ পর্বে রাহুলের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যাতে পা মেলান, সেই পরিকল্পনা চলছে বলেই কংগ্রেস হাইকমান্ড সূত্রে খবর।
এর আগে কন্যাকুমারিকা থেকে কাশ্মীর—ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুলের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি আরও পোক্ত করেছে বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। ১৪৬ দিন ৪ হাজার ৮০ কিলোমিটার পদযাত্রায় নিজেকে যেমন নতুন করে খুঁজে পেয়েছেন রাহুল, একইভাবে বিজেপি বিরোধী অন্য দলের কাছেও গুরুত্ব আদায়ে সক্ষম হয়েছেন। রাজনৈতিক লাভ তুলেছেন হিমাচল প্রদেশ আর কর্ণাটক জিতে।
এবার কংগ্রেসের লক্ষ্য, ডিসেম্বরে ভোট হতে চলা পাঁচ রাজ্যের মধ্যে তিনটিতে জয়। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়। পোরবন্দর থেকে পরশুরাম কুণ্ড—প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটার যাত্রাপথে গুজরাত লাগোয়া রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে তো রাহুল যাবেনই। ছত্তিশগড়কেও যুক্ত করার চেষ্টা চলছে। থাকবে ভোটমুখী মিজোরামও।
সামনে চব্বিশের ভোট। বিরোধীদের স্লোগান মোদি হটাও। তাই এবার পদযাত্রায় বেশি করে মোদি বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অংশগ্রহণ চাইছে কংগ্রেস। জানুয়ারিতে শেষ হবে পদযাত্রা। ততদিনে বেজে যাবে লোকসভা ভোটের ডঙ্কা। ফলে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ভারত জোড়ো যাত্রার দ্বিতীয় পর্ব।
Be the first to comment