যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছিল। গত ১০ অগাস্ট হস্টেলের ৬৮ নম্বর ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল প্রথম ডায়েরি। আর এবার মেন হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘর থেকে উদ্ধার করা হল দ্বিতীয় ডায়েরিটি। এই দুই ডায়েরি নিয়ে এখন যত কৌতূহল বেড়েছে। পুলিশ মনে করছে, ঘটনার তদন্তে আরও বেশি সাহায্য মিলবে এই ডায়েরি থেকে।
এর আগে যে হলুদ রঙের ডায়েরি উদ্ধার হয়েছিল তাতে পাওয়া গিয়েছিল একটি চিঠি যা ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়ের উদ্দেশে লেখা হয়েছিল। ঘটনায় ধৃত পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত জেরায় দাবি করে সে ওই ডায়েরির চিঠি লিখেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ডায়েরি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য সামনে আসেনি। প্রথম ডায়েরির ওই চিঠির তথ্য সামনে আসার পরই মেন হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে তল্লাশি অভিযানে ওই ডায়েরিটি উদ্ধার করা হয়। তবে দ্বিতীয় ডায়েরি থেকে কিছু মিলবে কিনা, এখনও তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রের মৃত্যুর পর মেন হস্টেল থেকে যে ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে, সেটি ৩৩২ পাতার। সেই ডায়েরির ১৯৯ নম্বর পাতায় একাধিক বার স্বাক্ষর করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই স্বাক্ষরগুলি ভুয়ো। কেউ অনুশীলন করেছেন। আর এখান থেকেই তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছেন, কেউ বা কারা কি মৃত ছাত্রের স্বাক্ষর নকল করার চেষ্টা করেছিলেন? যদি সেই চেষ্টাই করা হয়, তা হলে কেন নকল করার প্রয়োজন পড়ল?
শুধু তাই-ই নয়, আরও যে প্রশ্নটি ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের সেটি হল, পাতা জুড়ে একাধিক স্বাক্ষরের কী প্রয়োজন পড়েছিল? এর নেপথ্যে কোন উদ্দেশ্য ছিল? যে স্বাক্ষরগুলি ডায়েরির পাতা থেকে উদ্ধার হয়েছে সেগুলি ছাত্রের মৃত্যুর আগে না কি মৃত্যুর পরে? ধৃতদের জেরা করে ডায়েরির রহস্যের সূত্র খোঁজা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
গত ৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের এফ-২ ব্লকের নীচ থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে। ওই দিন রাতে মেন হোস্টেলে ঠিক কী কী ঘটেছিল, সেটাই খুঁজে বার করতে চাইছে পুলিশ। কেন না ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় উঠে এসেছে র্যাগিংয়ের অভিযোগ৷ ইতিমধ্যেই পড়ুয়া ও প্রাক্তনী মিলে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Be the first to comment