বাংলার মানুষের হকের পাওনা আদায়ে অনড় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবনের গেটের সামনে রাতভর ধর্নায় থাকবেন তিনি। বৃহস্পতিবার, সন্ধেয় তৃণমূলের ধর্নামঞ্চ থেকে এই ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি জানান, রাজ্যপাল রাজভবনে উপস্থিতি নেই। সেই কারণে বকেয়ার দাবিতে স্মারকলিপি দিতে রাজভবনে যাবেন তৃণমূলের ১৫জন প্রতিনিধি। সৌজন্য দেখাচ্ছে তৃণমূল। কিন্তু রাজ্যপালের জমিদারির মনোভাবের প্রতিবাদ করেন অভিষেক।
কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, রাজ্যের পাওনা আদায় দিল্লি গিয়ে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষকে ১০০দিনের কাজ করিয়ে টাকা দেয়নি কেন্দ্র। এর প্রতিবাদে দিল্লিতে দুদিনে ধর্না কর্মসূচি পালন করেন অভিষেকরা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দিল্লিতে আমাদের ধমকানো-চমকানো হয়েছে। কিন্তু আমাদের দমানো যায়নি। আমরা সৌজন্য দেখিয়েছি, কিন্তু রাজ্যপালের এই জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে। দিল্লিতে যা হয়েছে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতা, এর জবাব দেবে মানুষ। গায়ের জোরে বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রাখা হয়েছে। ২০ লক্ষ মানুষ, যাদের দিয়ে কাজ করানো হয়েছে, তাদের প্রাপ্য আটকে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার অনুরোধ করব। কেন বাংলার টাকা আটকে রাখা হয়েছে, তা জানতে চাওয়ার অনুরোধ করব।“
রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেন অভিষেক বলেন, ‘‘কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। প্রতিমন্ত্রী পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এখন রাজ্যপালও চলে গেলেন। আমি তো সবার সামনে। বিজেপি নেতারা কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন?’’ এরপরেই হুঙ্কার দিয়ে অভিষেক ঘোষণা করেন, যতক্ষণ না রাজ্যপাল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করবেন, ততক্ষণ ধর্নামঞ্চেই অবস্থান থাকবেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত ৯ পর্যন্ত চলবে তৃণমূলে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। তার পর আবার শুক্রবার সকাল ১১টা কর্মসূচি শুরু হবে। তবে অভিষেক কোথাও নড়বেন না। বাংলার গরিব মানুষের হকের দাবিতে রাতভর ধর্নামঞ্চেই থাকবেন তিনি।
তাঁকে পাঠানো ইডির পর পর নোটিশ নিয়েও তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, “আমাকে ইডি একের পর এক নোটিস দিচ্ছে। আমার মা-বাবা-স্ত্রীকে একের পর এক নোটিশ, অথচ বিজেপি নেতারা কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন? ২০ লক্ষ মানুষ কী কাজ করেছে? এটা রাজ্যপালের কাছে জানতে চাইব।“
Be the first to comment