লক্ষ্মীপুজোর দিন ঘুরে আসতে পারেন লক্ষ্মীগ্রামে

Spread the love

‘এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে, আমারই ঘরে থাকে আলো করে’—আবহমান কাল ধরে বাংলার ঘরে ঘরে বিশেষ করে মহিলারা কোজাগরি লক্ষ্মীপুজোর দিন মা-কে আহ্বান জানান তাঁদের নিজের ঘরে। ঐশ্বর্যের দেবী লক্ষ্মী। লক্ষ্মী চঞ্চলা। কিন্তু তাঁর কৃপাদৃষ্টি যদি কারওর উপর পড়ে তাহলে তাঁর সমৃদ্ধি অনিবার্য। প্রতি বছরের মতো এ বছরও লক্ষ্মীপুজোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে সারা বাংলা। যে সব মণ্ডপে দুর্গা প্রতিমার পুজো হয়েছে, সেই সমস্ত মণ্ডপে চলে এসেছে লক্ষ্মী প্রতিমা। প্রতি বৃহস্পতিবারে যেমন গৃহলক্ষ্মীর পুজো করেন বাড়ির মহিলারা তেমনি কোজাগরীর দিন অবধারিতভাবে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করে থাকেন। পূর্ণিমা তিথিতে এই পুজো হয়। এবারে আবার বৃহস্পতিবারেই পড়েছে লক্ষ্মীপুজো।

পাঠকদের এখন জানাবো এমন এক গ্রামের কথা যেখানে আড়াইশোরও বেশি সার্বজনীন লক্ষ্মীপুজো হয়। গ্রামটি হলো হাওড়ার আমতার জয়পুর থানার অন্তর্গত খালনা গ্রাম। চন্দননগর যেমন জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য বিখ্যাত, বারাসাত কালীপুজোর জন্য অথবা কাটোয়া-ব্যাণ্ডেল কার্তিক পুজোর জন্য, ঠিক তেমনি খ্যাতি খালনা গ্রামের লক্ষ্মীপুজোর জন্য। এ গ্রামে প্রতি বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো তো হয়ই, প্রতি পাড়াতেই প্যান্ডেল করে বারোয়ারি লক্ষ্মীপুজো হয়। পুলিশ-প্রশাসন যেমন দুর্গাপুজো বা বড়ো পুজোগুলির জন্য আলাদা পরিকল্পনা করেন, তেমনি এখানে খালনা থানাকে জেলা পুলিশ লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে সমস্ত রকম সহযোগিতা করে। পাড়ার বাচ্চারা বাবা-মায়ের হাত ধরে লক্ষ্মীঠাকুর দেখতে বেরোয়। তাই এই গ্রামের নাম হয়েছে লক্ষ্মীগ্রাম। পাঠকরা ৫ অক্টোবর ২০১৭ লক্ষ্মীপুজোর দিন ঘুরে আসতে পারেন লক্ষ্মীগ্রামে। কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলা হাওড়ার আমতায় এই লক্ষ্মীগ্রাম। সুতরাং খুব বেশি সময় বা অর্থব্যয় হবে না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*