“সশরীরে না পারলেও, মানসিকভাবে আমি আপনাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

শারীরিক অসুস্থতার জের। সেকারণেই এবার সশরীরে পুজোর উদ্বোধনে বেরতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পুজোর উদ্যোক্তাদের নিরাশ করলেন না মমতা। ভার্চুয়ালি পুজোর উদ্বোধনে সামিল হয়েছেন তিনি। শ্রীভূমি স্পোর্টিং, টালা প্রত্যয়-সহ কলকাতা ও শহরতলির বেশ কয়েকটি বড় পুজোর আজ ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা রাজ্যের মোট ৮০০-র বেশি পুজোর আজ ভার্চুয়ালি উদ্বোধন হচ্ছে মমতার হাত ধরে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি এমনিতে ঠিক আছি। কিন্তু আমার পায়ে একটা চোট আছে। সেই চোট সারতে কিছুদিন লাগবে। ওখানে একটা ইনফেকশন হয়ে গিয়েছে। এখন হাটাচলা শুরু করে ওটা আরও বাড়বে। তাই ডাক্তাররা বারণ করেছেন। আমি সশরীরে আপনাদের সঙ্গে উপস্থিত থাকতে না পারলেও, মানসিকভাবে আমি আপনাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছি।” তবে শ্রীভূমিতে দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে পুজোর উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ মমতার। বললেন, “শ্রীভূমিতে প্রতি বছর খুব ভিড় হয়। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করে বিষয়টি দেখবেন। ২৭ তারিখ পুজোর কার্নিভালে আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে।”হাতিবাগান সর্বজনীনে ভলান্টিয়ারদের ইউনিফর্ম করা হয়েছে নীল-সাদা। এই ইউনিফর্ম বেশ পছন্দ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। হাতিবাগানের পুজোর উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানালেন সেকথা। বললেন, “আমার খুব পছন্দ হয়েছে।” হাতিবাগানের প্রতিমাও বেশ পছন্দ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।

পাশাপাশি টালা প্রত্যয়ের প্রতিমা ভার্চুয়ালি দেখতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের থিম ও অন্যান্য সাজসজ্জার বিষয়েও জানতে চান। বললেন, এবার ইউনেসকোর প্রতিনিধিদল অনেক বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে আসছে। তাঁদের জন্য আলাদা রুট করো। পুলিশকেও বলব, তাঁদের যেন গ্রিন চ্য়ানেল করে নিয়ে যাওয়া হয়। যেন তাঁদের সম্মান ও অতিথি বরণ ভালভাবে করা হয়। অন্যদিকে, আহিরিটোলা সর্বজনীনের দেবী প্রতিমা দেখে মুগ্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “প্রতিমাটা দারুণ হয়েছে। দারুণ বলতে খুব সুন্দর। এই প্রতিমা সংরক্ষণ করে রাখার ইচ্ছে রয়েছে আমার।” প্রতিমাশিল্পীর সঙ্গেও কথা বললেন তিনি। জানালেন, কার্নিভালের পর ওই প্রতিমাটিকে সংরক্ষণ করে রাখা হবে।এন্টালির পুজোর উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “ধর্ম যার যার নিজের, কিন্তু উৎসব সবার। আমরা ঐক্যবদ্ধ, সংহতিপূর্ণ।”

এদিন কলকাতার পাঁচটি পুজোর উদ্বোধনের পর জেলাগুলির পুজোর উদ্বোধন করেন মমতা। শুরু করেন কোচবিহার থেকে। এরপর এক এক করে বাকি জেলাগুলির পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ২৬ অক্টোবর জেলায় পুজোর কার্নিভাল আয়োজিত হবে। উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির কথাও এদিন উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। বললেন, কালিম্পঙের রংপোয় প্রায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। কালিম্পঙে যাঁরা মারা গিয়েছে, তাঁদের পরিবারকে আমি ৩ লাখ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি শুনেছি, কালিম্পং জেলা এবার পুজো করছে না। অল্প কিছু আছে পুজো। আপনারা যেটা ভাল বুঝবেন, সেটাই করবেন।

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানালেন, বানারহাটে সেনার সেল ফেটে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। একটি ছেলে আহত হয়েছে, তার চিকিৎসার জন্য ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।” এছাড়া তিস্তার জলে সেনার যেসব বন্দুক বা সেনার অন্যান্য জিনিস ভেসে এসেছে, সেগুলিতে যাতে কেউ হাত দেন, আমজনতাকে সেই পরামর্শও দিয়েছেন মমতা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*