“গোটা বিশ্ব এখন বুঝতে পারছে সন্ত্রাসবাদ কত বড় চ্যালেঞ্জ”: P20 বৈঠকে কড়া মনোভাব প্রধানমন্ত্রীর

Spread the love

শুক্রবার, দিল্লির যশোভূমি কনভেনশন সেন্টারে জি২০ গোষ্ঠীর নবম সংসদীয় অধ্যক্ষদের শীর্ষ সম্মেলন বা পি২০-তে, ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে সন্ত্রাসবাদী হামলার কথা স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্ত্রাসবাদকে তিনি মানবতার শত্রু বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর আক্ষেপ, বারবার বিশ্বে সন্ত্রাসবাদী হামলা হচ্ছে। তবে সন্ত্রাসবাদের কোনও অভিন্ন সংজ্ঞা নির্ধারণ করা যায়নি।

ভারতের জি২০ সভাপতিত্বের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে, এখনও কিছু বৈঠক বাকি রয়েছে। এদিন নয়া দিল্লিতে যশোভূমি কনভেনশন সেন্টারে জি-২০ গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলির সংসদের অধ্যক্ষরা পি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। তবে, জি২০ গোষ্ঠী এখন আর ২০ সদস্যের নয়, নয়া দিল্লি ঘোষণাপত্রে আফ্রিকান ইউনিয়নকেও এই গোষ্ঠীর সদস্য করা হয়েছে। তাই, এদিনের শীর্ষ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো যোগ দিয়েছেন আফ্রিকান ইউনিয়নের সংসদের অধ্যক্ষও। এই বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়েই সন্ত্রাসবাদের সংজ্ঞআর প্রসঙ্গ টানেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের সংজ্ঞা নিয়ে ঐকমত্য অর্জন করা যায়নি। এটা দুঃখজনক। মানবতার শত্রুরা এর সুবিধা নিচ্ছে। গোটা বিশ্বের সমস্ত দেশের সংসদগুলিকে ভাবতে হবে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারি।”

২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ভারতীয় সংসদে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানেরল মজতপুষ্ট দুই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী, লস্কর-ই-তইবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ। এই হামলায় দিল্লী পুলিশের ছয় কর্মী, পার্লামেন্ট সিকিউরিটি সার্ভিসের দুই কর্মী এবং এক মালীর মৃত্যু হয়েছিল। সংসদের বাইরে ওই পাঁচ জঙ্গিকে খতম করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এদিন, সেই হামলার কথা সমরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদীরা জানত আমাদের সংসদ চলছে। তারা এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে খতম করতে চেয়েছিল। কয়েক দশক ধরে ভারত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করছে। সন্ত্রাসবাদীরা হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। গোটা বিশ্ব এখন বুঝতে পারছে যে সন্ত্রাসবাদ কত বড় চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাসবাদ মানবতাবিরোধী।”

পাশাপাশি চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “বিশ্ব আজ যে দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের সম্মুখীন, তা কারো উপকারে লাগবে না। মানবতার সামনে আজ যে চ্যালেঞ্জরগুলি রয়েছে, বিভক্ত বিশ্ব তার সমাধান করতে পারবে না। পরস্পরের উপর আস্থার পথে যে সকল বাধা আছে, আমাদের তা দূর করতে হবে। মানবকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এখন একসঙ্গে সকলের উন্নয়নের সময়। এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ-এর আবেগ নিয়ে দেখতে হবে বিশ্বকে। জনগণ এগিয়ে এলেই বিশ্বব্যাপী সকল চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করা যাবে।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*