রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী প্রয়াত তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নামে তৈরি হবে রাস্তা। সোমবার বিকেলে ভার্চুয়ালি একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজোর উদ্বোধনের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ঘোষণা করলেন সে কথা। একডালিয়ার পুজোর উদ্বোধনে আজ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণায় আবেগে ভাসলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই একডালিয়ার পুজোর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “সুব্রতদা যেখানেই থাকুক, আমাদের আওয়াজ ঠিক গিয়ে পৌঁছাচ্ছে তাঁর কাছে। আপনি আবার আমাদের মধ্যে জন্মগ্রহণ করুন, আমাদের মধ্যে ফিরে আসুন।” পুজোর উদ্বোধনে আজ একডালিয়ার মণ্ডপ থেকে উপস্থিত ছিলেন সুব্রতবাবুর স্ত্রী ছন্দবাণী দেবীও। তিনি এবার পুজোর প্রেসিডেন্ট। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় আবেগঘন তিনিও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র রাজনীতিক জীবনের একটি দীর্ঘ পর্ব জুড়ে সঙ্গে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস গঠিত হওয়ার অনেক আগে থেকেই। সেই কংগ্রেসের সময় থেকে। শুধু রাজনৈতিক সম্পর্ক নয়, ব্যক্তিগত স্তরেও মমতা ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বেশ সুমধুর সম্পর্ক ছিল। মমতাকে ভীষণ স্নেহ করতেন সুব্রতবাবু। আজ একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধনের সেই পুরনো স্মৃতিগুলির কথা বার বার উঠে এল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। বললেন, “সুব্রতদার মুখটা দেখলে খুব কষ্ট হয়। হাসিমুখটা খুব মিস করি। প্রতিবার বলত কী রে আমায় কবে সময় দিবি? কীভাবে লোকটা এত তাড়াতাড়ি চলে গেল! নিশ্চয়ই ট্রেটমেন্টে কোথাও ভুলভ্রান্তি ছিল বলে মানুষটা এত তাড়াতাড়ি চলে গেলেন।”
একডালিয়ার পুজোর পুরনো দিনগুলির কথা মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “প্রতিবার মায়ের সামনে নিয়ে গিয়ে আমায় শাড়ি দিত। একডালিয়া তাঁর জীবন ছিল। চারদিন আড্ডা মারত। সুব্রতদা আমায় দেখলেই আমায় মায়ের মন্ত্র বলতে বলতেন।”
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী ছন্দাবাণী দেবীর সঙ্গেও এদিন বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়াত নেতার স্ত্রীকে মমতা বললেন, “আমি যাব বৌদি। আমার পায়ে চোট আছে। ভাল হলেই যাব।” সেই সময়েই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, আগামী দিনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নামে একটি রাস্তা বানিয়ে দেবেন তিনি।
Be the first to comment