মহালয়ার সন্ধে থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল শ্রীভূমিতে। তারপর থেকে যত দিন এগিয়েছে, তত ভিড় বেড়েছে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের ডিজনিল্যান্ড দেখতে। প্রতিপদ, দ্বিতীয়ায় রাতভর শ্রীভূমির বাইরে দেখা গিয়েছে মানুষের ঢল। আজ তৃতীয়ার সন্ধেয় পুজো দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। সন্ধে সাতটা নাগাদ শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের ডিজনিল্য়ান্ড দেখতে যান তিনি। মণ্ডপসজ্জা, আলোকসজ্জা, দেবী প্রতিমা দেখে মুগ্ধ রাজ্যপাল বোস। শ্রীভূমির পুজোর উদ্যোক্তাদের তরফে ফুলের স্তবক, উত্তরীয় দিয়ে স্বাগত জানানো হয় বোসকে।
কলকাতা শহরের সঙ্গে রাজ্যপাল বোসের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। অতীতে যখন তিনি ব্যাঙ্কে কর্মরত ছিলেন, তখন কলকাতায় পোস্টিং ছিল তাঁর। তবে রাজ্যপাল হিসেবে এই প্রথম কলকাতার দুর্গাপুজো ঘুরে দেখছেন তিনি। বোস জানালেন, প্রায় ৪০ বছর আগে তিনি দুর্গাপুজোর আনন্দে সামিল হয়েছিলেন। তারপর এখন যখন তিনি ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছেন, এখনও সেই একই ধরনের উত্তেজনা অনুভব করছেন তিনি।
মঙ্গলবার তৃতীয়ার সন্ধেতেও শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের বাইরে ভিড় উপচে পড়ছে দর্শনার্থীদের। রাত যত বাড়ছে, তত বাড়ছে মানুষের ঢল। আর এবার সেই উৎসবের মেজাজে সামিল বাংলার সাংবিধানিক প্রধানও। পাঞ্জাবি গায়ে একেবারে পুরোদস্তুর বাঙালি পোশাকে আজ শ্রীভূমির পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখলেন তিনি। রাজ্যপাল বোসকে মণ্ডপসজ্জার খুঁটিনাটি বোঝালেন ক্লাবের উদ্যোক্তারা।
শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের দুর্গাপুজো শহরের অন্যতম বড় দুর্গাপুজো। প্রতি বছরও কাতারে কাতারে দর্শনার্থীদের ভিড় হয় শ্রীভূমির মণ্ডপ দেখতে। এবার সেখানে পুজো মণ্ডপ সাজিয়ে তোলা হয়েছে ডিজনিল্যান্ডের আদলে। শহর কলকাতার বুকে এক টুকরো ডিজনিল্যান্ড দেখতে ভিড় জমছে এবারও।
Be the first to comment