২১ ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশি। শেষে ভোররাতে গ্রেফতার। দুপুরে তোলা হল ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। সেখানেই দীর্ঘক্ষণ চলে সওয়াল জবাব। শেষে বিচারক তাঁর রায়ে জানিয়ে দেন আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ১০ দিন ইডি হেফাজতে থাকতে হবে জ্যোতিপ্রিয়কে। এই রায়দানের পরপরই এজলাসেই এদিন ভেঙে পড়তে দেখা গেল জ্যোতিপ্রিয়কে। অজ্ঞান হয়ে চেয়ার থেকে নিচে পড়ে যান তিনি। বমিও করে ফেলেন। সূত্রের খবর, বাবার এই অবস্থা দেখে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন তাঁর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী। মেয়ের কাঁধে মাথা রেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রীর এই অবস্থা দেখে দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শহরের এক নামজাদা বেসরকারি হাসপাতালে। তবে সেখানে তাঁর চিকিৎসার খরচ জ্যোতিপ্রিয়কেই বহন করতে হবে। এমনই নির্দেশ আদালতের। একইসঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার দিনগুলি ইডি হেফাজতের মেয়াদের বাইরে থাকবে বলেও কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অভিযুক্ত সুস্থ বোধ করলে তাঁকে কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। সেই মুহূর্তেই কম্যান্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জ্যোতিপ্রিয়র জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Be the first to comment