একাধিক বিষয়ে রাজভবন-নবান্ন দ্বন্দ্ব রয়েছে। এমনকী বিলে সই করা নিয়েও মতানৈক্য রয়েছে উভয়ের মধ্যে। তবে উৎসব সেসব দ্বন্দ্ব আপাতত ভুলিয়ে দিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে এদিন রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা হয়। বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ”বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলাম, এটা সৌজন্য।”
পায়ের চোটের সমস্যায় প্রায় মাস দেড়েক বাড়িতেই বিশ্রামে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গাপুজোতেও দেখা যায়নি তাঁকে। ভারচুয়ালি সমস্ত পুজোর উদ্বোধন সেরেছেন। তবে গত ২৭ অক্টোবর রেড রোডে দুর্গাপুজো কার্নিভ্যালে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর মঙ্গলবার থেকে নবান্নে যাতায়াত শুরু করেছেন। আর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি গেলেন রাজভবনে, রাজ্যপালের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। তার আগে এদিন মুখ্যমন্ত্রী যান বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে, নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাকে দেখতে।
রাজভবন থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ”আমি শ্রীমতী নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে গিয়েছিলাম হাসপাতালে। উনি অধ্যাপিকা ছিলেন। নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা। আমার সঙ্গে বেশ কয়েকবার আলাপ, দেখাসাক্ষাৎ হয়েছে। তিনি অসুস্থ শুনে আমি গিয়েছিলাম দেখতে। ওঁর অবস্থা খুবই সংকটজনক। যেমন দেখেছিলাম আগে, আর আজ যা দেখলাম, তার মধ্যে অনেক তফাৎ। ওঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।” রাজ্যপালের সঙ্গে কী কথা হল, এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল।” পা কেমন আছে? তাতে সংক্ষেপে জানালেন, ভালো আছে। এর পরই গাড়িতে উঠে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment