মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কিংবা অতীতে সাত বারের সাংসদ হিসেবে তিনি কোনও সুযোগ-সুবিধা নেননি, সেকথা বার বার মনে করালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারও ভবানীপুরের বিজয়া সম্মিলনীতে সেকথা উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। একইসঙ্গে বিরোধীদেরও কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, মানুষের জীবন তো খুব ক্ষণস্থায়ী। কাল যদি আমি মরে যাই, দেখবেন যাঁরা আমাকে গালি দেয়, প্রথমে তাঁরাই মালা নিয়ে ঢুকবে। এক জনকেও ঢুকতে দেবেন না। আমি সবাইকে বলে দিচ্ছি। আমি কারও দয়া চাই না। আমি জীবনে কারও দয়া নিয়ে মানুষ হইনি।
একইসঙ্গে কারও নাম না করে মমতা বললেন, আমি নিজের নামে স্টেডিয়াম বানাই না। আমার পাবলিসিটির দরকার নেই।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “আমি নিজের নামে কিছু করি না, কারণ আমার প্রয়োজন নেই। এমনকী মা-মাটি-মানুষের নামে একটাও স্কিম করিনি।” তৃণমূল সুপ্রিমোর আরও সংযোজন, “আমার বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর অনেকে বলেছিল, যদি (তাঁদের নামে) কিছু করা যায়। আমি বলে দিয়েছিলাম, না, কোনও প্রয়োজন নেই। আমার বাবা-মা কোনওদিন চাইতেন না। আমিও চাই না। মানুষের মতো মানুষ হয়ে বেঁচে থাকলে, এর থেকে বেশি কিছু চাই না। যতটা পারি, ততটা করি।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সোমবারের বক্তব্যের পর বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘ জীবন ও সুস্থ্য শরীর কামনা করছি। মুখ্যমন্ত্রী হয়ত হতাশা ও আতঙ্ক থেকে এই ধরনের কথা বলছেন। ব্যক্তি আক্রমণ বা কুরুচিকর বক্তব্যের রাজনীতি বিজেপি করে না।
Be the first to comment