বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বিতর্কের মুখে পড়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সূত্রের খবর, মহুয়াকে নিয়ে ইতিমধ্যেই খসড়া রিপোর্টও তৈরি করে ফেলেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। তবে বিতর্কের শুরু থেকেই কৃষ্ণনগরের সাংসদকে নিয়ে কার্যত চুুপ ছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনকী কংগ্রেস তথা বিরোধী দলগুলি পাশে দাঁড়ালেও তৃণমূল সুপ্রিমো বা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে একটি শব্দও খরচ করতে শোনা যায়নি এ বিষয়ে। অবশেষে মহুয়া-বিতর্কে মুখ খুললেন অভিষেক।
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল অভিষেককে। ঘণ্টাখানেক পর সেখান থেকে বেরিয়ে অভিষেক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। মহুয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, এথিক্স কমিটির ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠে অভিযোগ নিয়ে এতটা তৎপরতা দেখায় না এথিক্স কমিটি, যতটা মহুয়াকে নিয়ে তারা তৎপর।
সূত্রের খবর, মহুয়াকে নিয়ে খসড়া রিপোর্ট তৈরি করেছে এথিক্স কমিটি। বৃহস্পতিবার কমিটির বৈঠকে সেই রিপোর্ট পেশ করা হবে। তার আগেই জানা গিয়েছে, রিপোর্টে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এত দ্রুত সুপারিশ করা হল কেন? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক। কয়েকদিন আগেই বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরির বিরুদ্ধে লোকসভার অন্দরে কু কথা বলার অভিযোগ উঠেছিল। আজ, সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে অভিষেক বলেন, “বিজেপির এমন অনেক সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সেগুলির শুনানি হয় না এথিক্স কমিটিতে। আর কেউ সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে চাইলে, আদানিদের নিয়ে প্রশ্ন তুললে, তাঁকে কীভাবে সাংসদ পদ থেকে সরানো যায়, সেই চেষ্টা করা হয়।”
অভিষেক আরও বলেন, ‘মহুয়া মৈত্র যথেষ্ট যোগ্য। উনি নিজের লড়াই নিজেই লড়তে পারবেন।’ পুরো বিষয়টাকে প্রতিহিংসা বলেই মনে করছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। এদিন অভিষেক কার্যত মহুয়ার পাশে দাঁড়ালেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment