ইডি-সিবিআই নিয়ে ফের একবার বিজেপির তুলোধনা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ফলতার ফতেপুর হাইস্কুলের ফুটবল মাঠে একটি বস্ত্র বিতরণী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অভিষেক বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করতে না পেরে বিজেপি নানাভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখতে চাইছে। কিন্তু, আমরা মাথা নত করব না।
সম্প্রতি একাধিকবার অভিষেককে তলবে করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিষেকের দাবি, তাঁদের দলের ঘোষিত কর্মসূচি বানচাল করতেই এসব করা হচ্ছে। পরিকল্পনা করেই তাঁকে দফায় দফায় ডাকা হচ্ছে। অভিষেক বলেন, “যেদিন যেদিন আমার কর্মসূচি ছিল সেদিনই বাধা দিতে তার একটা প্রচেষ্টা এরা মরিয়াভাবে চালিয়ে গিয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর আমার বিরোধী জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক ছিল দিল্লিতে। একইদিনে একইসময়ে আমাকে তদন্তকারী সংস্থার অফিসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। আমি গিয়েছি। পরবর্তীকালে আমাদের দিল্লিতে একশোদিনের কাজে কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণের বিরুদ্ধে ধরনা ছিল। সেই ধরনায় যাতে আমি সশরীরে উপস্থিত হতে না পারি, তাই ফের আমাকে ডাকা হয়েছিল। পরবর্তীকালে আবার ৩ অক্টোবর আমাকে নোটিস দেওয়া হয়। তখন আমি রাজভবনের সামনে ধরনায় বসে। তখনই নোটিস পাঠানো হয় যাতে ধরনাটা বানচাল হয়ে যায়।”
অভিষেকের আরও দাবি, কয়লাকাণ্ডে সুবিধা না করতে পেরেই এখনও নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তাঁকে ও তারঁ পরিবারকে ডেকে হেনস্থা করা হচ্ছে। অভিষেক বলেন, “আমি ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যে কথা বলেছি সেই অবস্থানে আমি অনড়। তিন বছর হয়েছে। ৩৬ মাস পরেও আমি একই কথা বলছি। তখন কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে আপনারা বড় বড় ভাষণ দিতেন আর বলতেন অভিষেক বন্দ্যোপধ্যায় যুক্ত। সেই কয়লা কেলেঙ্কারি বা তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট আমাকে প্রটেকশন দিয়েছে। কয়লাকাণ্ডে যেহেতু আপনি কিছু করতে পারছেন না, সে কারণেই এসএসসি বা প্রাইমারি নিয়োগ কেসে অভিষেককে ডাকো, তাঁর মা-কে ডাকো, বাবা-কে ডাকো।” তৃণমূল সেনাপতির আরও দাবি, তাঁকে নতিস্বীকার করাতেই ইচ্ছা করেই এসব করা হচ্ছে। তাঁর সাফ কথা, “কী করে তাঁকে বশ্যতা স্বীকার করানো যায় সে সেই চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু, আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, আমি অন্য ধাতুতে তৈরি। আমার গলা কেটে দিলেও জয় বাংলা বের হবে, তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ বের হবে।”
Be the first to comment