ভাইফোঁটার দুপুরে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে কালীঘাটে উপস্থিত শোভন। সক্রিয় রাজনীতির আঙিনা থেকে আপাতত দূরে থাকলেও ভাইফোঁটার দিনে বিগত বছরগুলিতেও কালীঘাটে মমতার বাড়িতে দেখা মিলেছে শোভনের। এবারও তার অন্যথা হল না। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে কপালে চন্দনের ফোঁটা নিয়ে বেরিয়ে আবেগে ভাসলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার প্রসঙ্গে সুকৌশলে পাশ কাটিয়ে গেলেও বার বার বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল থেকে বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে তাঁকে আলাদা করা যাবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে ফোঁটা নিয়ে বেরিয়ে শোভন বললেন, “আজ ভীষণ আবেগের একটা দিন। মমতাদির প্রতি শ্রদ্ধার দিন। মমতাদির আমার প্রতি যে অন্তরের ভালবাসা ও টান রয়েছে, তার কোনও বিকল্প হয় না। এটা উপলব্ধি করি।” তবে এবার ভাইফোঁটায় কী উপহার পেলেন শোভন? তিনিই বা কী দিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে? শোভন অবশ্য ‘পার্থিব’ উপহারের বদলে আত্মিক টানের উপহারকেই বেশি গুরুত্ব দিলেন। বললেন, “পরিকল্পিতভাবে মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
একইসঙ্গে নাম না বিরোধীদের উদ্দেশেও বার্তা দিয়ে রাখলেন মমতার স্নেহের ‘কানন’। শোভনের কথায়, শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য কেউ কেউ পরিকল্পিতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আঘাত করছেন। তাঁদের উদ্দেশে শোভনের বার্তা, “মমতাদির বিরুদ্ধে চক্রান্ত হলে, আমার মতো বাংলার বহু মানুষ নিজেদের কলিজা দিয়ে সবকিছুকে রক্ষা করবে। পরিকল্পিতভাবে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে দুর্বল করার চেষ্টা হয়, তাহলে বাংলার প্রভূত ক্ষতি হবে। কেউ সেই ক্ষতি পূরণ করতে পারবে না। মমতাদি পশ্চিমবঙ্গের উপর বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়ে রেখেছেন। এই ছায়া যাতে কেউ কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে, তার জন্য আমি সবসময় তৈরি ছিলাম, এখনও আছি।”
Be the first to comment