যত সময় কাটছিল এবং উদ্ধারকাজে বাধা আসছিল, ততই উৎকণ্ঠা বাড়ছিল উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ শ্রমিককে নিয়ে। অবশেষে ৪২২ ঘণ্টা পর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ওই শ্রমিকদের। উদ্ধারকারী দল, আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের মতোই উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। মঙ্গলবার রাতে শ্রমিকদের উদ্ধারের খবর শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেন তিনি। সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে শ্রমিকরা একটু স্থিতিশীল হতেই তাদের সঙ্গে ফোনেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। খোঁজ নেন তাঁদের শরীর-স্বাস্থ্যের।
উত্তরকাশীর উদ্ধারকাজ নিয়ে নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদ্ধারকাজ যাতে দ্রুত শেষ হয় এবং শ্রমিকদের সুরক্ষিতভাবে বের করে আনা হয়, তার জন্যও তাগাদা দেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার ৪১ শ্রমিক উদ্ধার হওয়ার খবর পেতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস নেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি উদ্ধারকারী দলকে এই দুঃসাহসিক উদ্ধারকাজের জন্য বাহবা দেন। এর কিছুক্ষণ পরেই উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
শ্রমিকদের সঙ্গে ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রথমেই অভিনন্দন জানান। তাঁদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। তিনি বলেন, “আমি খুব খুশি। যদি আপনাদের কোনও কিছু হয়ে যেত, তবে মনকে কীভাবে সামলাতাম, জানি না। কেদারনাথ-বদ্রীনাথ বাবার কৃপায় সব ঠিক হয়েছে। আপনারা একে অপরের শক্তি হয়ে উঠেছিলেন এই ১৬-১৭ দিনে। নাহলে তো রেলের কামরাতেও ঝগড়াঝাটি বেধে যায়। আমি নিয়মিত খোঁজ নিতাম। কিন্তু তাতে তো কিছু হয় না। আপনারা সুস্থভাবে বেরিয়ে এসেছেন, এটাই সন্তুষ্টি।”
ও প্রান্ত থেকে শ্রমিকরাও বলেন, “আমরা ১৭ দিন বন্দি ছিলাম সুড়ঙ্গে, তবুও একা অনুভব হয়নি। কারণ আমরা ৪১ জন ছিলাম, অনেকেই ভিন রাজ্যের। সকলে ভাইয়ের মতো থাকতাম, খাবার ভাগ করে খেতাম। সুড়ঙ্গের ভিতরেই আমরা হাঁটাহাঁটি-যোগাসন করতাম। উত্তরাখণ্ড সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামীকেও ধন্যবাদ। উনি নিয়মিত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসতেই উনি আমাদের জড়িয়ে ধরেন। ভি কে সিং-ও ছিলেন ওনার সঙ্গে।”
প্রধানমন্ত্রী জবাবে বলেন, “ভি কে সিংয়ের সেনায় যে প্রশিক্ষণ ছিল, তা দেখিয়েছেন তিনি। শুনলাম আপনারা যোগাসনও করতেন।”
Be the first to comment