কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চার রাজ্যে বিধানসভার ফল ঘোষণার পর এই প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল ‘সেনাপতি’। জয়ী দলকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি, পরাজিতদের নিজেদের ভুল-ত্রুটি শুধরে নেওয়ার বার্তা দিলেন তৃণমূল সাংসদ। অভিষেক: বলেন, আমরা ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি। তারপর একুশে জিতেছি। সাগরদিঘিতে হারের পর আমরা শিক্ষা নিয়েছি। মানুষের কাছে গিয়েছি। এরপরই ৩ রাজ্যে পরাজয় প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, কংগ্রেসের উচিৎ নিজেদের ভুল ত্রুটি পর্যালোচনা করা। প্রতিভাবানদের সুযোগ দেওযা হয় না। ভুল সংশোধন যদি আগে করা হত এটা হত না। রাজস্থানে ২ শতাংশে হেরেছে। এটা কিছু না। মতানৈক্য আগে শুধরে নিলে এমনটা হত না। রাজ্য কংগ্রেসের প্রদেশ নেতৃত্ব রয়েছে তাঁরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন। যোগ্যদের সুযোগ না করে দিয়ে লাইম লাইটে থাকার মরিয়া চেষ্টা তার বাইরে কংগ্রেসের স্থানীয় বা প্রদেশ নেতাদের বেরতে হবে। আমরা প্রথম দিন থেকে বলছি যে যেখানে শক্তিশালী তাঁকে সেখান থেকে লড়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।
এদিন বিরোধী দলনেতাকেও একহাত নেন অভিষেক। বলেন, যে সব থেকে বেশি চিৎকার করছে তাঁকে টিভির পর্দায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। ছোটবেলায় আমরা পড়তাম, পকেটমার হইতে সাবধান। রাস্তায় যাঁরা চুরি করে, পকেটমারি করতে তাঁদের দেখবেন চুরির পর দূরে দাঁড়িয়ে চোর বলে চিৎকার করে। এরা সেই পকেটমার। নিজেরা পকেট মেরে চোর বলে চিল্লায়। বিজেপি নেতারা সেই পকেটমার। নারদায় যারা যুক্ত রয়েছেন সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ববি হাকিম, মদন মিত্রকে গ্রেফতার করা হল। শুভেন্দুকে কেন গ্রেফতার করা হল না? মোদী যে বলছেন, না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা! তাহলে শুভেন্দুকে গিয়েই শুরু করুন।
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। অভিষেক আরও বলেন, মহুয়া মৈত্র সম্পর্কে অভিষেক বলেছেন, “মহুয়া মৈত্র সাবলম্বী। নিজের লড়াই লড়তে পারেন। সকলকে নিজের লড়াই লড়তে হবে। আমিও লড়ছি। আমাকে, আমার স্ত্রী-মা-বাবা-সকলকে ইডি সিবিআই দিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। নব জোয়ার যাত্রার সময়ও হেনস্থা করা হয়েছে। আমি ও স্ত্রী দু’জন মিলে বিগত তিন বছরে বারো বার ইডি-সিবিআই এর কাছে উপস্থিত হয়েছি। তাই সকলকে নিজের লড়াই লড়তে হবে।
Be the first to comment