উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। আর সেই মামলায় দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য, রাজ্যপাল ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)কে একসঙ্গে বসে উপাচার্য নিয়োগের প্যানেল গঠনের জন্য জমা দেওয়া প্রস্তাবিত নামের একটি সম্মিলিত তালিকা তৈরি করতে। এই আবহে সোমবার রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে প্রায় ১ ঘণ্টা বৈঠক করেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বৈঠক ভাল হয়েছে। ধর্মতলার মোড়ে একটি নাম করা মিষ্টি বিপণী থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে নানা স্বাদের মিষ্টি উপহার দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানান, অস্থায়ী উপাচার্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সঙ্গে ৫ সদস্যর কমিটি নিয়েও আলোচনা চলেছে। মমতা বলেন, “এটা বিধানসভায় পাশ হয়, আগেই অর্ডিন্যান্সও হয়েছিল। উনি সই করেছিলেন তাতে। আমাদের মধ্যে কোনও ডিফারেন্স নেই। যখন উনি অর্ডিন্যান্স সই করেছিলেন, তার মানে ওনার সম্মতি ছিলই। আমার মনে হয় মিটিং খুব ভাল ও সফল হয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, অনেক সময়ই বলা হয় রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের ঝগড়া হয়েছে। মমতার বক্তব্য, “আমি মনে করি সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে সেইমতো নিজেদের মধ্যে কথা বলে আলোচনায় বসার থেকে ভাল উপায় আর কিছু নেই। আমি মনে করি কথাবার্তা যেভাবে এগিয়েছে, তাতে কোনও বিতর্ক হওয়ার কথা নয়, কনফিউশনও হওয়ারও কথা নয়।”
এদিন রাজ্যপালের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রায় ৩০ রকমের মিষ্টিতে সাজানো ডালা উপহার দেওয়া হয় বলেই সূত্রের খবর। শুকনো সন্দেশ থেকে শুরু করে নলেন গুড়ের মিষ্টি। ধর্মতলার ওই দোকান থেকে রাজভবনে যায় তা। ছানার টোস্ট, চম্পাকলি, ক্ষীরকদম্ব, বাটার স্কচ সন্দেশ সবই ছিল সাজানো।
Be the first to comment