মহুয়া মৈত্রকে আত্মপক্ষ সমর্থনেরও সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হয়। লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় কৃষ্ণনগরের সাংসদকে। এই খবর আসতেই কার্শিয়াং থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। তিনি বলেন, “ভারতীয় সংসদের জন্য এটা খুব দুঃখের দিন। মহুয়া মানুষের ভোটে নির্বাচিত। বিজেপি তাঁকে ভোটে পরাজিত করতে না পেরে, আত্মপক্ষ সমর্থনের না দিয়ে, ৪৯৫ পাতার রিপোর্ট পাঠিয়ে আধ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিল। বারবার ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা বলেছেন, রিপোর্ট পড়ার সুযোগ দিন। তাও দেওয়া হয়নি।”
মমতার বক্তব্য, বিজেপি গণতন্ত্রের সঙ্গে লড়তে পারে না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য একজন তরুণ প্রজন্মের মুখকে হেনস্থা করেছে। মমতা বলেন, “গণতন্ত্রকে হত্যা করা হল এভাবে। দল মহুয়া মৈত্রের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। আমরা সুবিচার চেয়েছিলাম। ২-৩ মাস বাদে ভোট। এর থেকেই বোঝা যায় বিজেপি কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ।”
এদিন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আবারও কি মহুয়া তৃণমূলের প্রার্থী হতে চলেছে? মমতার জবাব, “না হওয়ার তো কোনও কারণ এখনও পর্যন্ত দেখছি না। আর ওকে তো কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার প্রেসিডেন্টও করা হয়েছে। তাছাড়া দল তো ওর পাশেই দাঁড়িয়েছে। যা হয়েছে তা তো ধ্বনি ভোটে হয়েছে। হাত তুলে ভোট, কোনও সুযোগ না দিয়ে। পাস, পাস, পাস হয়ে গেল। এটাও রেকর্ড থাকবে। ওরা তো গণতন্ত্রের বাইপাস সার্জারি করে দিল।”
মমতার বক্তব্য, মহুয়া ভোটে নির্বাচিত সাংসদ। তিনি বলেন, “বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করল, সংসদের সঙ্গে প্রতারণা করল, সংবিধানের সঙ্গে প্রতারণা করল। আমরাও তো অনেকে সংখ্যায়। আমরাও তো অনেক কিছু করতে পারি। তবে এটা কি ঠিক? আমি বলব এক্ষেত্রে মহুয়া পরিস্থিতির শিকার হল। আমি তীব্রভাবে এর বিরোধিতা করি। ইন্ডিয়া জোট ও দল লড়বে।”
Be the first to comment