প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শীঘ্রই সাক্ষাৎ হতে পারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল সূত্রে এমন খবরই শোনা যাচ্ছে। ডিসেম্বরেই তিনদিনের জন্য দিল্লি সফরে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তার মধ্যে একদিন মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান তিনি। সময় চেয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মমতা। একদিকে রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগ, অন্যদিকে, মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা। সেই আবহেই মমতার এই দিল্লি সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিক, আগামী ২৪ ডিসেম্বর কলকাতায় গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন তিনি। তার আগেই দিল্লিতে সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা মমতা-মোদীর।
সংসদে চলছে শীতকালীন অধিবেশন। সেই অধিবেশনের শেষের দিকে তিনদিনেই এই সফরে যাচ্ছেন মমতা। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মমতা জানিয়েছেন, কয়েকজন সাংসদকে নিয়ে দিল্লি যাবেন তিনি। ১৮, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে একদিন তিনি সময় চেয়েছেন মোদীর কাছে। তিনি বলেন, “বাংলার প্রাপ্য টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আবাস যোজনা, গ্রামের রাস্তা, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, এই রাজ্য থেকে জিএসটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কিন্তু রাজ্যের ভাগ দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর কথায়, ওদের টাকা চাই না, অন্তত আমাদের ভাগের টাকা দিয়ে দিন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চিঠি দিয়ে সময় চেয়েছি। সময় দিলে ভাল। না হলে যা করার করব।’
গত সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে দিল্লি গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল, যার নেতৃত্বে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁদের সঙ্গে দেখা হয়নি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির। কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হয় তাঁদের। পরে কলকাতায় এসে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসেছিলেন অভিষেক সহ তৃণমূল নেতারা। সেই সময় অভিষেক বলেছিলেন, পরবর্তী ধাপে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রতিবাদ কর্মসূচি হতে দিল্লিতে। পরবর্তীরে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে দিল্লি যাওয়ার কথা বলেছিলেন খোদ মমতা।
Be the first to comment