বকেয়া টাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সংসদ ভবনেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের ১০ সাংসদ। প্রায় ২০ মিনিট বৈঠক চলে তাঁদের। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন লোকসভা-রাজ্যসভার ১০ সাংসদদের নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলাম। ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রয়েছে। সংবিধানের নিয়ম রয়েছে। ২০২৩ সালের বাজেটেও আমাদের রাজ্যের জন্য ১০০ দিনের কাজে কোনও বরাদ্দ ধার্য করা হয়নি। আবাস যোজনাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও টাকা দেওয়া হচ্ছে না। ফিন্যান্স কমিশনের টাকাও দেওয়া হচ্ছে না।
যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, তবে টাকা বন্ধ করে দিন। কিন্তু ১৫৫টি দল রাজ্য পরিদর্শনে এসেছে। আমাদের যা ব্যাখ্যা দেওয়ার ছিল, তা দিয়েছি। আজ পর্যন্ত কিছু হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ওনার অফিসার ও আমাদের অফিসার বৈঠক করবে। প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। আমরা কেন্দ্রের ভাগ পাচ্ছি না। গরিব মানুষদের টাকা বন্ধ করে রাখা ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রী মন দিয়ে আমার কথা শুনেছেন। পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভেঙানোর প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। তাই টিপ্পনি কাটব না। সংসদীয় দল নিয়ে কোনও কথা বলব না। ওরা নিজেদের জবাব দেওয়ার যোগ্য। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বা ডেরেককে জিজ্ঞাসা করুন। ওরা জবাব দেবে।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রের কাছ থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বকেয়া রয়েছে। কেন টাকা দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে অফিসারদের বৈঠক হবে। আমরা বলেছি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেন বকেয়া টাকা দেওয়া হয়। মল্লিকার্জুন খাড়্গের নাম প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে সুপারিশ করা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হ্যাঁ, আমি দলিত মুখ চেয়েছিলাম। খাড়্গেজির নাম সুপারিশ করেছি আমি। আমায় সমর্থন করেছেন অরবিন্দ কেজরীবালজি।” নীতীশ কুমার এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে এমন কোনও খবর নেই।
১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাড গণনা হোক, এটাই আমি চাই। আমি সকলকে সম্মান করি। যদি রাহুলজি ভিডিয়ো না করত, তাহলে তো আপনারা জানতেও পারতেন না। সকলকে মেরি খ্রিস্টমাস ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠক শেষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment