চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। হাতছাড়া হয়েছে ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ। রাজস্থানে পরাজয়ের যে অন্যতম কারণ দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, তা বলা বাহুল্য। রাজস্থানের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ নেতা অশোক গেহলটের সঙ্গে যুব নেতা সচিন পাইলটের বিরোধ বারবার প্রকট হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার ‘পাখির চোখ’ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে এবার বিভিন্ন রাজ্যে দলের সাংগঠনিক স্তরে বড় রদবদল আনল কংগ্রেস। সচিন পাইলটকে বড় দায়িত্ব দিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। বলা যায়, রাজস্থানের অন্তর্দ্বন্দ্ব ঘোচাতে সচিন পাইলটকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল অন্য রাজ্যে। আবার উত্তর প্রদেশের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকেও। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, দিন দুয়েক আগে দলের ওয়ার্কিং কমিটির (CWC) বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে রদবদল করা হয়। সেখানেই সর্বভারতীয় কংগ্রেসের (AICC) সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ছত্তীসগঢ়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় সচিন পাইলটকে। অন্যদগিকে, উত্তর প্রদেশের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে। তাঁর জায়গায় দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে উত্তর প্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অবিনাশ পাণ্ডেকে। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে নির্দিষ্ট কোনও রাজ্যের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও তিনি সামগ্রিকভাবে দলের দায়িত্ব পালন করবেন বলে কংগ্রেসের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গুজরাটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মুকুল ওয়াসনিক এবং কর্নাটকের দায়িত্বে এসেছেন রণদীপ সূর্যেওয়ালা। জিতেন্দ্র সিংকে অসমের সঙ্গে মধ্য প্রদেশের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেরল, লাক্ষাদ্বীপ এবং তেলঙ্গানার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দীপা দাসমুন্সিকে। আবার লালুপ্রসাদ ও নীতীশ কুমার-ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা মোহন প্রকাশকে দেওয়া হয়েছে বিহারের দায়িত্ব। সবমিলিয়ে বলা যায়, গোবলয়-সহ বিভিন্ন রাজ্যেই প্রদেশ নেতৃত্বে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। কেবল বিভিন্ন রাজ্যের সাংগঠনিক স্তর নয়, AICC-র শীর্ষস্তরেও কিছুটা রদবদল হয়েছে। জেনারেল সেক্রেটারি হিসাবে দলের কমিউনিকেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশকে এবং সাধারণ সম্পাদক হিসাবে অর্গানাইজেশনের দায়িত্ব সামলাবেন কেসি বেণুগোপাল।
Be the first to comment