শুক্রবার মধ্যরাতে যখন বনগাঁর বাড়ি থেকে শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি, সেই সময় থেকেই তাঁর স্ত্রী দাবি করে আসছিলেন, মধ্যরাতে নাকি আচমকা একটি কাগজ দেখানো হয়েছে তাঁদের। এক ইডি অফিসার নাকি শঙ্করবাবুকে বলেছেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাঁর নাম বলেছেন। জ্যোৎস্না আঢ্যর সেই দাবি থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, কী এমন কাগজ দেখিয়েছিল ইডি? এমন কোন কাগজ হাতে এসেছে ইডির অফিসারদের? আর এসবের মধ্যেই উঠে আসছে আরও নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য। আদালতে ইডি দাবি করে, হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই নাকি চিঠির মাধ্যমে জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে যোগাযোগ হত তাঁর মেয়ের।
ইডির তরফে আরও দাবি করা হয়, যেদিন হাসপাতালের কেবিন থেকে সিসিটিভি খোলার কথা, সেই দিনই ওই চিঠি পাঠানো হয়। আর সেই চিঠি চলে আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে। এরপর আসে ইডির হাতে। ইডির দাবি, সেই চিঠিতে একাধিক নামের উল্লেখ রয়েছে। যদিও তদন্তের গোপনীয়তার কারণে সেখানে কার কার নাম ছিল, তা উল্লেখ করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন আদালতে পেশ করে শঙ্কর আঢ্যকে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানায় ইডি।
উল্লেখ্য, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে বনগাঁর এই দাপুটে তৃণমূল নেতার দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে জানা যাচ্ছে। যদিও শঙ্কর আঢ্যর বক্তব্য, রাজনৈতিকভাবেই জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে তাঁর পরিচিতি। শঙ্কর-জায়া জ্যোৎস্না আঢ্যও সেই একই দাবি করেছেন। বালু দলের জেলা সভাপতি হওয়ার সুবাদে যেমন রাজনৈতিক সম্পর্ক হয়, তার বেশি কিছু নয় বলেই দাবি আঢ্য পরিবারের।
Be the first to comment