দিল্লির বাড়ি থেকে যেন কর্পুরের মতো উবে গিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট এবং বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তদন্তকারীরা। এরপর ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। অবশেষে খোঁজ মিলল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি), রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতে দেথা গেল তাঁকে। দিল্লি থেকে রাঁচির সরকারি বাসভবনে পৌঁছেছেন তিনি। বাড়ি ফিরেই তিনি দলের মন্ত্রী এবং বিধায়কদের সঙ্গে তিনি এক বৈঠকে বসেছেন। তিনি আসার আগেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন, সেখানকার রাজভবন এবং রাঁচিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অফিসের ১০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
সোমবারই এক জমি সংক্রান্ত অর্থ নয়ছয়ের মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর দিল্লির বাড়িতে গিয়েছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের কর্তারা। ১৩ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে পুরো প্রাঙ্গনে তল্লাশি চালান তাঁরা। কিন্তু হেমন্ত সোরেনের দেখা পাননি। তাঁর দুটি গাড়ি এবং ৩৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। এরপর, ‘তিনি পালিয়ে গিয়েছেন’ বলে অভিযোগ করে বিজেপি। তবে, তাঁর পরিবারের এক সদস্য জানান, তিনি মোটেও পালিয়ে যাননি। তাঁর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা আখ্যান’ তৈরি করা হচ্ছে। ২৭ জানুয়ারি তিনি রাঁচি থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দিল্লিতে তিনি ব্যক্তিগত কাজেই গিয়েছিলেন, শিগগিরই তিনি রাঁচিতে ফিরে আসবেন।
সূত্রের খবর, বুধবার দুপুর ১টায় তাঁর রাঁচির বাসভবনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের সামনে তাঁর বিবৃতি রেকর্ড করতে রাজি হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। ইডি-র রাঁচি অফিসে তিনি একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, তদন্তে তিনি সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত। হেমন্ত সোরেন আরও দাবি করেছেন, এই তদন্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার সরকারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতেই এই তদন্তের অবতারণা করা হয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তার প্রস্তুতি এবং অন্যান্য পূর্ব নির্ধারিত ব্যস্ততার জন্যই তিনি ইডির জেরায় যোগ দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত এই জমি কেলেঙ্কারি মামলায় এখনও পর্যন্ত হেমন্ত সোরেনকে দশটি সমন পাঠিয়েছে ইডি। কিন্তু, তিনি একবারও তদন্তে যোগ দেননি।
Be the first to comment