রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটল বিহারে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি), বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোটে জিতল নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। আস্থা প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট পড়ল ১২৯টি। ভোটদানের আগেই অবশ্য রাষ্ট্রীয় জনতা দল, কংগ্রেস এবং বাম বিধায়করা কক্ষ ত্যাগ করেন। আস্থা ভোটের আগে, বিরোধী জোটও নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করেছিল। তেজস্বী যাদব বলেছিলেন ‘খেলা হবে’। তবে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের অঙ্ক হাতে নেই, তা স্পষ্ট হতেই সেই উদ্যোগ থেকে সরে এসেছিল মহাগঠবন্ধন। উপরন্ত আস্থা ভোটের দিন ঘর ভেঙেছে আরজেডির। তাদের তিন সাংসদ এদিন শুরু থেকেই এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বসেছিলেন। তাঁরা তিনজনই আস্থায় প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন।
এদিন, বিধানসভায় সরকারিভাবে নীতীশ কুমার বিধানসভার সমর্থন চাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় জমজমাট নাটক। শুরুতেই বিহার বিধানসভার অধ্যক্ষ তথা আরজেডি নেতা অবোধবিহারী চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাঁকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হয়। ১২৫ জন সদস্য তাঁকে বরখাস্ত করার পক্ষে ভোট দেন। এরপর আস্থা প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা শুরু হয়। প্রাক্তন জোটসঙ্গীর প্রতি তীব্র ব্যঙ্গাত্মক কটূক্তি করেন আরজেডি নেতা তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। নীতিশ কুমারকে দশরথ এবং চাচা বলে সম্বোধন করেন তিনি। জানান, চাচা চলে গেলেও ভাতিজা একাই বিহারে মোদীর জয়রথ আটকাবে। পাশাপাশি, তিনি প্রশ্ন তোলেন, নীতীশ যে ফের পাল্টি খাবেন না, সেই গ্যারান্টি কি দিতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? কর্পুরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন দিয়ে সম্মান জানানো আসলে বিজেপির কাছে একটি চুক্তি মাত্র বলে দাবি করেন তিনি। তেজস্বী যাদবের বক্তৃতার পরই আরজেডি, কংগ্রেস এবং বামেরা বিধানসভা কক্ষ ত্যাগ করে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মহাগঠবন্ধন সরকার ছেড়ে ফের এনডিএ জোটে যোগ দিয়েছেন নীতীশ কুমার। আগের সরকার থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপির সঙ্গে নতুন সরকার গঠন করেছেন। রেকর্ড নবমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। যার মধ্যে, চলতি মেয়াদেই তিনি তিন-তিনবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে বর্তমান সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজেপির বিজয়কুমার সিনহা এবং সম্রাট চৌধুরী।
Be the first to comment